সুস্থ থাকার ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন
সুস্থ থাকার ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বা বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যা আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে পারবেন। তাই আজকের পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বর্তমান সময়ে এমন অনেকে আছেন যাদের শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে ঠিকঠাক ধারণা নেই। তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা ও সুস্থ থাকার ১০টি উপায় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
ভূমিকা
জীবনে চলার পথে সফলতা অর্জন করার ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যক্তি যখন শারীরিকভাবে নিজেকে সুস্থ অনুভব করেন তখন তিনি তার উদ্দেশ্যে অর্জনের পথে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারেন। একজন সুস্থ ব্যক্তি সর্বদা প্রফুল্ল থাকেন এবং দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সাবলীলভাবে করার ক্ষমতা রাখেন। তাই আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো সুস্থ থাকার জন্য করনীয়, যেমন- সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম এবং সুস্থতা সম্পর্কে হাদিস সম্পর্কে।
সুস্থ থাকার জন্য করণীয়
নিত্যদিনের কাজকর্মের ব্যস্ততায় আমাদের অনেকেরই শরীরের যত্ন নেওয়ার দিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে যা নিত্যকর্মসূচির মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন ও নেতিবাচক কিছু কাজ ত্যাগ করাকে ইঙ্গিত করে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সুস্থ থাকার ১০টি উপায় বা জন্য করণীয় কি কি সংকল্প ধারণ করা যেতে পারে।
- সুস্থ থাকার প্রধান করণীয় হলো নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করা। যে কোন প্রকারের শারীরিক চাপ বা মানসিক চাপ থাকলে তা এড়িয়ে না চলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
- নিয়ম করে দৈনিক সকালে আধাঘন্টা হাটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে দিনের শুরু থেকেই শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে ও শরীরও সুস্থ থাকবে।
- প্রতিদিন শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। সাথেই খেয়াল রাখতে হবে যেন দাঁড়িয়ে জল পান না করি। জল পান করার পরিমাণ বৃদ্ধি করায় কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনির সমস্যা হতে দূরে থাকা যাবে।
- প্রতিবেলায় নিয়মিত এবং সময়মত আহার গ্রহণ করা এবং খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সুষম খাদ্য রাখতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। রাতে ৯-১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে হবে যেন রাতে ঘুমের সময় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত জেগে থাকা না হয়।
- প্রাত্যহিক ক্রিয়াকলাপের সুচির মধ্যে শরীর চর্চার কর্মসূচিটি অবশ্যই যোগ করতে হবে। শরীরচর্চার সাথে নিয়মিত যোগাসন করুন। যোগাসন করলে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের কর্মক্ষমতা ও স্থিরতা বৃদ্ধি পায় হলে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে।
- সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অতিরিক্ত বাজারজাত করা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। প্রথমত বাজারজাত করা খাবার অস্বাস্থ্যকর হয় এছাড়াও বাইরের ভাজাপোড়া কিংবা ফাস্টফুড খাবার ঘনঘন খাওয়ার ফলে এতে থাকো অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালরি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হয়।
- অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর দ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। যেমন ধূমপান কিংবা মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এছাড়াও সুস্থ থাকতে চা ও কফির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। এতে থাকা নিকোটিন ও ক্যাফিন জাতীয় উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই চাও কফির পরিবর্তে গ্রিন টি কিংবা ফলের রস গ্রহণ করা যেতে পারে।
- অলসতা পরিহার করে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে দিনব্যাপী কার্যক্রম ও কর্তব্য গুলো সাধন করা উচিত। যেমন উঁচু দালানের কোনো তলায় পৌঁছাতে হলে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা উচিত।
- প্রতিবছর নিকটস্থ চিকিৎসকের সঙ্গে নিজের শারীরিক অবস্থার একটি নির্ধারণ নেয়া উচিত। যেন ব্যক্তির শরীরে কি রকমের পরিবর্তন আসছে তা সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এই কর্মসূচি নিয়মিত করা উচিত।
- সব শেষে, স্যার সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় করণীয়গুলো অনুসরণ করার জন্য অবশ্যই দিনের প্রথম থেকে তৈরি করা পরিকল্পনা অনুসারে সকল কাজ বাস্তবায়ন করা উচিত। এতে করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারা একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন অনুযায়ী পরিচালিত হবে। ফলে আমাদের সুস্থ থাকার হার আরো বেড়ে যাবে।
সুস্থ থাকার ১০টি উপায়
গবেষণা বলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ডায়েট, সুগঠিত জীবনেধারা এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সাথেই আজীবন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব এবং এই তত্ত্বটি বহুবার সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অনেকগুলো করণীয় মেনে চলতে হয় যার কিছুটা আমরা পূর্বের অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি। তাই সুস্থ থাকার ১০টি উপায় সম্পর্কে নিম্নে সরল ভাবে উল্লেখ করা হলো।
- প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য যোগ করলে প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীর যথেষ্ট পুষ্টি নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে। এতে করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেশিই থাকে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে শরীরকে সুস্থ থাকার জন্য শতভাগ করে নিশ্চিত করা যায়। ৮-১০ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করবেন। এবং অতিরিক্ত তাপদাহ থাকলে অবশ্যই জলের সাথে অন্যান্য পুষ্টিকর পানিও গ্রহণ করা উচিত। এতে করে শরীরের টক্সিন নিঃসরণ হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সময় অসময়ে ডাবের জল অথবা বিভিন্ন তাজা ফল থেকে প্রাপ্ত রস খাওয়া যেরে পারে।
- নিয়মিত শরীর চর্চা করে শরীরকে সুস্থ রাখা অনেক সহজ হয়ে পড়ে। শরীরচর্চার জন্য অবশ্যই একটু সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। বিশেষ করে সকালের সময় শরীরচর্চার জন্য অন্যতম উপযুক্ত সময়। সকালে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার অভ্যাসের সাথে কিছু ছোটখাটো শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়াম অনুসরণ করে আমাদের স্বাস্থ্য সক্রিয় থাকে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সাথেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
- ধ্যান কিংবা সংকল্প করার মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ দূর হয় এবং নানান রকম দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাথে এটি আমাদেরকে পরিবেশে সঙ্গে স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্যে স্থির রেখে আমাদের মনোবল দৃঢ় করতে সাহায্য করে।
- শরীরের ওজনের ভারসাম্যতা বজায় রাখা। অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্বল্প ওজন দুটোই আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধি সৃষ্টির কারণ হতে পারে। তাই আমাদের বিএমআই অনুযায়ী সঠিক ওজন ধরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানো কিংবা ওজন বৃদ্ধির জন্য সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- রাতে তাড়াতাড়ি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরে দুর্বলতা দূরে রাখে এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যেকোনো ঔষধী দ্রুত দেহে কার্যকরী হয়।
- নিকোটিন, ক্যাফেইন কিংবা অ্যালকোহল থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। সোজা কথায়, ধূমপান ও মাদকদ্রব্য কিংবা মদ্যপান সম্পূর্ণ রূপে বর্জন করতে হবে।
- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- দিনে সকল কার্যক্রম একটি নোটে লিপিবদ্ধ করতে হবে যেন সুস্থ থাকার ১০টি উপায় কিংবা দৈনিক কার্যকলাপে সুস্থতা বজায় রাখতে করণীয়গুলো এলোমেলোভাবে দেখে উঠবে কিংবা দুশ্চিন্তা সৃষ্টি না হয়। সুস্থ থাকার জন্য নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রফুল্ল ও তাজা রাখা জরুরী।
- নিজেকে সর্বক্ষণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি করে রাখা। ব্যক্তির পরিপাটি ও গোছানো ব্যক্তিত্ব তাকে নমনীয় ও কৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করে
সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম
ব্যায়াম সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। সুস্বাস্থ্য গঠনের উদ্দেশ্যে আমাদের দিন শুরু করার মাধ্যম হোক যোগব্যায়াম। সকালে শুরুতে প্রাকৃতিক নির্যাস গ্রহণ করার সাথে এই কয়টি ব্যায়াম অনুশীলন করা যায়।
বৃক্ষাসনঃ সকালে শুরুতে সুর্যস্নান শেষে বৃক্ষ আসন করার জন্য প্রথমে মাটি বরাব ৯০ ডিগ্রি কোণে এক পায়ের ভরে দাঁড়িয়ে হবে এবং এই অবস্থায় হাত দিয়ে পাতে ভাসাম ও দেয়ার মাধ্যমে উরুর সাথে পা টি ঠাই দিয়ে দাঁড়াতে হবে। এরপর শরীর সোজা রেখে হাত দুটি মাথার উপরে নমঃ করার মত করে রেখে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করতে হবে।
তদাসনঃ সমস্ত শরীর শটান করে দাঁড়িয়ে থেকে দুহাত জোড়া অবস্থায় উপরের দিকে তুলতে হবে এবং মাথা ৫-১০ সেকেন্ড পর্যন্ত পেছনের দিকে হেলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে আমাদের মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়।
বজ্রাসনঃ প্রথমেই পা দুটোকে নিতম্ব বরাবর ভাজ করে যেন পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দুটো পরস্পর লেগে থাকে এবং পিঠ সোজা রেখে হাত দুটো হাঁটু বরাবর সমান অবস্থায় রেখে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণত বজ্রাসনের ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
হাঁটাহাঁটিঃ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য হাঁটাহাঁটি অতি প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে দ্রুতগতিতে হাঁটার অভ্যাস রাখা ভালো।
সুস্থতা সম্পর্কে হাদিস
সুস্থ শরীর ও মন প্রকৃতির পক্ষ থেকে থেকে প্রদান করা বিশাল এক নেয়ামত। এ বিষয়ে বিশ্বনবী সা. বলেছেন, অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে গনিমত মনে করা উচিত এবং হাদিস অনুযায়ী, সম্পদের তুলনায় সুস্থতা উত্তম। সুস্থতার জন্য দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ.
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা
উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম পুষ্টিকর খাদ্য থাকা অত্যাবশ্যক। আমিষ, স্নেহ বা চর্বি জাতীয় উপাদান, খনিজ, শর্করা, খাদ্যপ্রাণ ও পানির সমন্বয়ের সুষমখাদ্য তালিকা গঠিত হয়। খাদ্য তালিকায় কি কি রাখতে হবে এর জন্য সংক্ষেপে একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়-
- নানা রকম বাদাম
- সবুজ শাকসবজি
- ব্যক্তি প্রতি দুটি ডিম
- মোরশুমি ফল
- মুরগির মাংস
- লাল মাংস
- ছোট কিংবা বড় মাছ
- এবং প্রতিদিনের খাবারে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত পণ্য আবশ্যক।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সুস্থ থাকার ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। তবে আপনার অথবা আপনার পরিবারের বা পরিচিত কারো যদি সুস্থতা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কোর্স সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো মতামতে আমাদেরকে জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে সুস্থ থাকার উপায়সমূহ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url