চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত

চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, চুলের আগা কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন চুলের যত্ন নেয়া সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত
চুল পড়া সমস্যা প্রতিটি মেয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুতর একটি ব্যাপার। চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার জানলে অকালে চুল দুর্বল ও অতিরিক্ত পড়ে যাওয়ার সমস্যা রোধ করা যায়। এছাড়া চুলের যত্নে প্রতিনিয়ত চুলের আগা কাটার নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আজকের পোস্টের মাধ্যমে এ সকল বিষয়বস্তুর সকল বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে বাহ্যিক স্বাস্থ্য ও পরিপাটি মনোভাব ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস কে ফুটিয়ে তুলতে পারে। চুলের আগা ফাটা কিংবা উশ্ক খুশ্ক চুল ব্যক্তির সৌন্দর্য লাঘব করার সাথে ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই চুলের যত্ন নেয়ার প্রয়োজনীয়তার সুবাদে আজকে আমরা জানবো চুল পড়ার কারণ, চুল ঘন করার উপায়, চুল লম্বা করার হেয়ার প্যাক ও চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

চুল পড়ার কারণ

বর্তমান সময় চুল পড়া সমস্যা অন্যতম পরিচিত সমস্যার মধ্যে যোগ হয়েছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে চুল পাতলা হওয়া বা চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। মাথার চুল পরে যাওয়ার ব্যাপারটা অতি সাধারণ হলেও এটি দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়াও রয়েছে চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার নিয়েও অনেকেই দ্বিধায় ভুগছে।

একজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দৈনিক প্রায় ১০০ চুল পড়ার প্রবণতা থাকে যা সম্পূর্ণই স্বাভাবিক এবং যখনই মাত্রা অধিকভাবে বাড়তে শুরু করবে তখন এটি চুল পড়া সমস্যায় রূপান্তরিত হয়। চুল পড়ার অনেকগুলো কারণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার কারণগুলো আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং আমাদের জীবন ধারার মানের সাথে জড়িত। পড়ে যাওয়ার সাধারণ কিছু কারণ নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

  • চুল পড়ার অন্যতম ও প্রধান কারণ হলো হরমোনের অস্বাভাবিক অবস্থা। হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে বিভিন্ন রকম কারণে থাইরয়েড হরমোনের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে শরীরের মাথা হ্রাস হলে বা বৃদ্ধি পেলে হরমোনের এই ভারসাম্যহীন অবস্থার কারণে চুল পড়ার সমস্যা হয়।
  • এছাড়াও নারী ও পুরুষ উভয়ের চুল উঠে যাওয়ায় এন্ড্রোজেনিক নামক হরমোনটি দায়ী। এই হরমোন পুরুষের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অধিক ক্ষতি সাধন করে। তবে এন্ড্রোজেনিক এর উৎপাদন মেনোপজ কালীন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই সময় চুল তুলনামূলক বেশি পড়ে।
  • শারীরিক স্বাস্থ্যের অস্বাভাবিকতা ও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব জনিত কারণে চুল পড়ার সমস্যা উদ্ভব হয়। ব্যক্তির দৈহিক গড়ন তার শরীরের পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভরশীল। তাই অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস দেহের বাহ্যিক অবস্থা কে প্রভাবিত করে, যেমন- চুল ফাটা কিংবা পড়ে যাওয়ার সমস্যা। তাই প্রতিদিনের খাবারে সুষম খাবার গ্রহণ করে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিতে হয়।
  • চুলের এলাকার অপরিছন্নতা চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ। বর্তমান সময় পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলছে এবং চুলের যত্নে এদিকে মনোযোগ না দেয়ার ফলে চুলের গোড়ায় ধুলোবালি জায়গা বাধলে চুল পড়ে।
  • মাথায় খুশকি হলে কিংবা চুলের ছত্রাকের সংক্রমনে চুল ঝরবর প্রবণতা বেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে খুশকি দূর করার বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করে ছত্রাক থেকে মুক্তির উপায় অবলম্বন করলে পুনরায় চুল উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
  • চুল পড়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ। দীর্ঘ সময়ব্যাপী মানসিক চাপ নিয়ে থাকার ফলে শুরু হয়। অতিরিক্ত চিন্তা করার কারণেই এ সকল সমস্যা দেখা দেয়। তবে এটি একটি সাময়িক স্থিতি।
  • বিভিন্ন রকম ঔষধি আমাদের চুল অতিরিক্ত পড়ে যাওয়ার কারণ। এছাড়াও চুলের আগা কাটার নিয়ম উপেক্ষা করার কারণেও চুল পড়ে। এ বিষয়ে চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার এর প্রসঙ্গতেও কথা উঠে।
  • চুল অতিরিক্ত পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি দায়ী। বিশেষ করে ক্যান্সার নিরাময়ের চেষ্টায় কেমোথেরাপির প্রয়োগে প্রাথমিক পর্যায় থেকে চুল পড়া শুরু করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শেষ হওয়ার কিছু মাস পরে আবার চুল জন্মাতে শুরু কর।
  • কিছু শারীরিক জটিলতার কারণেও চুল পড়ে যায়। যেমন যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম রয়েছে তাদের আলাদাভাবে চুল পড়ার সমস্যা থাকে।
  • রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রস্তুতকৃত প্রসাধনী চুলের ব্যবহারের ফলে চুলের মধ্যে নানা রকম সমস্যা সৃষ্ট হয় এবং চুল পড়ে।
  • কিছু বিরল ক্ষেত্রে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চুলের উপর পড়লে চুল পড়া সমস্যা শুরু হয়।
  • চুলের যত্নে করণীয় গুলো সম্পর্কে অবগত না থাকার ফলে সেই নিয়মগুলোর বিপরীতে দিনযাপন করা চুল পড়ার একটি কারণ।

চুল ঘন করার উপায়

চুল অতিরিক্ত ঝরে যাওয়ার জন্য সৌন্দর্যের বইয়ে উল্লেখিত ঘনত্বের দিকটি মুছে যায়। চুলের ঘনত্ব ধরে রাখার জন্য ছোটখাটো কিছু পদক্ষেপ নিয়ে চুলের যত্নে কাজে লাগানো যায়। তবে চুল পড়ে গিয়ে পাতলা হয়ে গেলে চুল ঘন করার জন্য চুলকে নতুন ভাবে গজানোর ব্যবস্থা করে দিতে হয়।

এছাড়াও চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার জেনে চুল পড়া রোধ করে এর ঘনত্বের দিকে ধ্যান দেয়া যেতে পারে। তবে ব্যক্তি ভেদে চুল ঘন হওয়ার সময়ের তারতম্য থাকতে পারে। যতদূর শোনা দিয়েছে, প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণে চুল খুব দ্রুত বজায় এবং ঘন হয়। ঘন করার কিছু উপায়ঃ

  • নিয়মিত তেল এবং সিরাম ব্যবহার করে চুলের ঘনত্ব এবং মসৃণতা ধরে রাখা সম্ভব।
  • স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা। স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রতিদিন নিয়ম মতো গ্রহণ করলে চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। এতে করে চুলের আগা ফাটার কারণ দূর হয় এবং চুল পড়া কমে। ফলে চুল পাতলা না থাকায় দেখতে ঘন লাগবে।
  • সিল্কের কাপড় অথবা পিচ্ছিল কাপড়ে তৈরি বালিসের কভার ব্যবহার করা। বালিস ব্যবহারে চুল যখন বাড়িতে সংস্পর্শে আসে তখন চোর ও কাপড়ের মধ্যে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় যার ফলে চুল করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যেহেতু চুল ঘন করার জন্য চুল পড়া ঠেকানো প্রধান কাজ তাই সিল্কের কাপড় ব্যবহার চুল পড়া রোধ করে।
  • চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে মোটা বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উত্তম। চুল আঁচড়ানোর জন্য কাঠের চিরুনি ব্যবহারে আরো বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। আলতো হাতে চুলের নিচের অংশ থেকে আচড়ানো শুরু করে উপর থেকে আঁচড়াতে হবে এবং স্নানের পর কিংবা ভেজা চুলে কখনোই চলে আচঁড়ানো যাবে না।
  • চুলে মেহেদির ব্যবহারে চুলের ঘনত্ব বাড়ে।
  • চুল ঘন করার জন্য প্রয়োজন নতুন চুলের উৎপাদন এবং পুরানো চুল মজবুত করা। নতুন চুলের উৎপাদনের জন্য যেভাবে নানা রকমের যত্ন ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনা হয় একইভাবে যোগাসনেরও গুরুত্ব রয়েছে। যোগাসন আমাদের মানবিক স্বাস্থ্যের বিচলিত ভাব দূর করতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলের দিকে খেয়াল রেখে বলাসন, সর্বাঙ্গাসন ও অধমুখাসনের উল্লেখ রয়েছে।

চুলের আগা কাটার নিয়ম

চুলে পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে বা, পরিবেশগত কারণে অথবা আমাদের ডায়েটের মাধ্যমে চুলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি না পৌঁছানোর কারণে চুলের আগা ফেটে যায় বা রুক্ষ হয়ে যায়। এটি চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার হিসেবে চুলের আগা কেটে ফেলা উচিত।

এছাড়াও চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্বের জন্য নিয়মিত চুলের আগা কাটা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, ৭-৮ সপ্তাহ অন্তরে চুলের আগা কাটা প্রয়োজন। প্রতি ৭-৮ সপ্তাহের মধ্যে চুলের আগা কাটা প্রয়োজন বলতে চুলের নিম্নভাগের অল্প অংশ ছাটাই করাকে বোঝায়।

প্রতি ৪ সপ্তাহে আধা ইঞ্চি চুল বেড়ে ওঠে। চুলের নিম্নভাগ ছাটাই করার ফলে চুল স্বাস্থ্যজ্জল হয়ে ওঠে এবং আগা ফাটা চুল গুলো কেটে ফেলার কারণে চুল দুর্বল আর পাতলা হয়না। প্রাত্যহিক জীবনের ব্যস্ততায় নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না তাই ৮ সপ্তাহে সম্ভব না হলে অন্তত প্রতি ৩ মাসে চুলের আগা কাটা উচিত এবং এর উর্ধ্বে সময় নেয়া যাবেনা।

চুল সিল্কি করার উপায়

আমরা অনেকেই চুল সিল্কি করার জন্য বিউটি পার্লারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। তবে পার্লারে না গিয়ে বাড়িতে বসেও চুল সিল্কি করা সম্ভব। নিম্নে চুল সিল্কি করার কিছু উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

  • সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দুবার শ্যাম্পু করে তারপর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
  • ডিম মধু টক দই এবং অ্যালোভেরার হেয়ার প্যাক  ব্যবহারের মাধ্যমে চুল সিল্কি করা যায়।
  • জবা ফুল এবং মেহেদী একত্রে হেয়ার পাক এর মত তৈরি করে চুলে লাগালে এটি অসাধারণ ভাবে চুল সিল্কি করতে সহায়তা করে।
  • প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার তেল ও লেবু একত্রে মিশ্রণ তৈরি করে গোসল করার এক ঘন্টা আগে চুলে লাগিয়ে তারপর এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

চুল পড়া এমন একটি সমস্যা যা নারী এবং পুরুষ উভয়েরই সমানভাবে হয়ে থাকে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এটি তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর বিশাল পরিমাণে প্রভাব ফেলে। তাই অনেকেই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকমের হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকেন। তবে শুধু পার্লারের হেয়ার ট্রিটমেন্ট নয় বাড়িতেও নেওয়া যায় এই হেয়ার ট্রিটমেন্ট গুলো। যা আমাদের কাছে ঘরোয়া উপায় নামে পরিচিত। অর্থাৎ আমরা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ঘরোয়া নানা রকম হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে চুল পড়ার এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি। তাই নিম্নে আপনাদের জন্য চুল পড়া বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

  • তেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তুলে দেয়ার জন্য নারিকেল তেল সবচেয়ে প্রচলিত। এতে অল্প পরিমাণে মেথি দিয়ে তেলটি ব্যবহার করবে উষ্ণ গরম করে তুলে দিলে দারুন ফলাফল পাওয়া যায়।
  • চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। তাই গোসলের ৩০ মিনিট পূর্বে চুলের গোড়ায় পেঁয়াজের রস লাগিয়ে তারপর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এভাবে কিছুদিন নিয়ম করে পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া অনেকটাই কমে যাবে।
  • রিঠা, শিকাকাই, মেহেদী, ডিম, অ্যালোভেরা, পেঁয়াজের রস এবং আমলকি দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে এই প্যাকটি চুলে লাগালে চুল পড়া বন্ধ হতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • আলুর রসও চুল পড়া বন্ধের একটি মহা ঔষধ হিসেবে পরিচিত। চুলের গোড়ায় আলুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে তারপর আধাঘন্টা পর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়।
  • ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা। ঘরোয়া উপকরণে তৈরি হেয়ার প্যাক নিশ্চিন্তে চুলে ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলাফলও চমৎকার। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং নতুন চুল গজানোর জন্য ঘরোয়া  বিভিন্ন প্যাক ব্যবহার করলে চুল যেভাবে ইতিবাচক হারে বাড়তে থাকে, একইভাবে চুল মসৃণ ও নজরকাড়া হয়ে ওঠে।

চুলের আগা ফাটার কারণ ও প্রতিকার

সাধারণত চুলের রুক্ষতার কারণেই চুলের আগা ফাটে। আমাদের পারিপার্শ্বিকের আবহাওয়া, আর্দ্রতা, অযত্ন, প্রতি তিন মাস অন্তরে চুলের আগা না কাটা ও পুষ্টিহীনতা বিশেষ করে চুলের আগা ফাটার কারণ হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়াও অতিরিক্ত চুল আচঁড়ানোর ফলে চুলের মসৃণতা দূর হয়ে আগা ফাটার প্রবণতা এবং চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

দ্রুত গতিতে ও এলোমেলো ভাবে চুলে চিরুনি বসানোর কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলের আগা ফাটার প্রতিকার হিসেবে স্বভাবতই কিছু সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে। খাদ্যদ্রব্যের দিকে ধ্যান রাখতে হবে যেন শরীরে পুষ্টির অভাব না ঘটে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন-ই এর পরিপূরক গ্রহণ করা যেতে পারে। নিয়ম করে ৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগা কাটতে হবে। এটিও সম্ভব না হলে অন্ততপক্ষে ১২-১৫ সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই একবার চুলের আগা কাটা প্রয়োজন। এতে করে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর হবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা চুলের আগা ফাটার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। তবে আপনি অথবা আপনার পরিবার কিংবা পরিচিত কারো যদি চুল ফাটা কিংবা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে চুলের যত্ন নেয়ার উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url