তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় বিস্তারিত তথ্য বা বিষয়বস্তু নিয়েই আজকের আমাদের মূল আলোচনা। সাথে আপনাদের জন্য আরও থাকছে, তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্ক্রাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন তৈলাক্ত ত্বক সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেই অশান্তিতে ভুগছে তবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে তাদের জানা নেই। তাই আমাদের আজকের তৈলাক্ত ত্বক সম্পর্কে সচেতনতা মূলক পোস্টের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ভুমিকা
ত্বকের সমস্যা অনেক রকম ভাবে বিভক্ত রয়েছে যার মধ্যে ত্বকের তৈলাক্ততা একটু অন্যতম সমস্যা। তৈলাক্ত ত্বক আমাদের দৈনন্দিন জীবণে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন ও মুক্তির উপায় সমূহ সম্পর্কে জেনে সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিত। তাই আজকের পোস্টে আমরা জানবো, গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানানোর পদ্ধতি, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সানস্ক্রিন ভালো, তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্ক্রাব, তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় এবং তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে।
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
তৈলাক্ত ত্বক প্রায় সকল মৌসুমেই তেলতেলে ভাব ধারণ করে থাকে। তাই গরমে বাতাসের আদ্রতার তারতম্যের কারণে তৈলাক্ত ত্বকের বিশেষভাবে যত্নের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ত্বকে সিবেয়াসিস গ্রন্থি গরমে তুলনামূলকভাবে অধিকভাবে সক্রিয় হয়ে যায় ফলে গরমে তৈলাক্ত ত্বক এতটাই তেলতেলে হয়ে যায় যে এটি সামলে চলতে অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে তেলতেলে ত্বকের যত্নে কি কি করা যায়।
- গরমের সময়ে ত্বকে ধুলাবালি জমে যাওয়ার শঙ্কা বেশি। এতে করে স্বাভাবিক ত্বকেই ব্রণ ও একনি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয় যা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আরো নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অধিক সচেতন তার সাথে ত্বককে সব সময় পরিষ্কার ও ধুলাবালি মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- গরমে অতিরিক্ত মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আমাদের ত্বক স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেই তেল উৎপাদন করে তা আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় তৈলাক্ততা প্রদান করে। তবে ঘন ঘন মুখ ধোয়ার কারণে সিবেয়াসিস গ্রন্থি পূর্বের তুলনায় অধিক হারে ত্বকের তেল উৎপাদন করে ফলে গরমে তৈলাক্ততা কমার বদলে বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন দুবার মুখ ধুলেই যথেষ্ট। দিনের শেষে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্যালিসাইলিক এসিড সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
- মুখের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব মুছার জন্য চশমা মুছার জন্য যে সকল নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করা হয় সেগুলো হালকা ভিজিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিতে পারেন।
- এছাড়াও ত্বকে ব্যবহৃত পোশাক কিংবা প্রসাধনী, চশমা, মোবাইল ও মোবাইলের কভার, বালিশের কভার, তোয়ালে ইত্যাদি হরদম পরিষ্কার রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমানোর জন্য নিয়মিত ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে। ত্বকের সৌন্দর্য ও স্বাভাবিক স্থিতি ধরে রাখার জন্য রূপচর্চার বহু পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়ের মধ্যে এক্সফোলিয়েশন একটি অতি পুরনো এবং অন্যতম পদ্ধতি। এক্সফোলিয়েট করার মাধ্যমে ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষসমূহ দূর হয়। এরজন্য ল্যাকটিক এসিড বা গ্লাইকোলিক এসিড বা ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকের সাহায্যে ত্বক এক্সফোলিয়েট করা যায়।
- নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে অন্তর্ভুক্ত। অনেকের ধারণা তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় না কারণ ত্বক এমনিতেই তৈলাক্ত থাকায় এটি ত্বককে আরো তৈলাক্ত করে তুলবে। তবে এ ধারণাটি ভুল। তৈলাক্ত ত্বকেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সাথে গরমে ত্বকে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ত্বকের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত সানব্লক অথবা পাউডার ব্যবহার করে সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে নিরাপদ রাখতে হবে।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া ফেসপ্যাক
- তেলতেলে ত্বকের বিরম্বনা স্বভাবতই বেশি। তৈলাক্ত ত্বকে অল্পতেই ব্রণ ও একনি জাতীয় নানা রকম সমস্যা দেলহা যায়।তাই তৈলাক্ত ত্বকের বিরম্বনা মোকাবেলা করতে প্রয়োজন ঘরোয়া ভাবে তৈরি কিছু ফেসপ্যাক ও অন্যান্য পদ্ধতির। চলুন এবারে জেনে নেই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরোয়াভাবে কিছু ফেসপ্যাক বানানোর উপায় ও উপকরণ সম্বন্ধে।
- লেবুর রস এবং বেকিং সোডা দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। লেবু আর বেকিং সোডা দিয়ে তৈরি এই প্যাকটি ত্বকের এক্সফোলিয়েশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে থাকা এসি ত্বকের মৃত কোষকে নিঃসরণ করবে এবং ত্বককে তাজা করে তুলবে। সবশেষে অবশ্যই ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিবেন।
- হলুদ এবং দুধ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের যত্ন নেয়ার সাথে ত্বকের আরামের জন্যেএ ব্যবহার করা যায়। এর জন্য কাঁচা হলুদের গুঁড়ো এবং দুধ দ্বারা তৈরি মিশ্রণটিই একটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধীরে ধীরে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন।
- ত্বকের যত্নে শসার ব্যবহারের কোন জুড়ি নেই শসাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে স্বচ্ছ করে। অল্প একটু সমস্যায় এবং সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তা পেস্তা হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। পরিশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ভালোমতো ধুয়ে নিন।
- দই এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকে তেলতেলে ভাব কমানো যায়। এক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে এবং মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ফেসপ্যাকের ন্যায় ত্বকে ব্যবহার করুন। অবশ্যই প্যাকটি ব্যবহার শেষে ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে নিতে হবে।
- সমপরিমাণে অ্যালোভেরা জেল এবং শসার পেস্ট দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকে এর চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়।
- তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কাঁচা দুধ একটু করে ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এরজন্য তুলা বা কোমল কাপড় দুধে ভিজিয়ে আলতো করে চেপে চেপে ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে এর কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
- এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য পেঁপে ত্বকে লাগানো যেতে পারে।
- তুই লাগছে ত্বকের যত্নে ঠান্ডা ঠান্ডা ভিনেগারের মিসকন ত্বকে লাগালে এর ব্যাপক উপকারিতা লক্ষণীয় হয়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রত্যেক রকমের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তৈলাক্ত ত্বকে শুষ্ক বা অন্যান্য স্বাভাবিক ত্বকের মত ময়শ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। এ ধরনের ত্বকের জন্য পানি সমৃদ্ধ বা জেল জাতীয় বা ঠান্ডা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উত্তম।
তৈলাক্ত ত্বকেরও পর্যাপ্ত আদ্রতার প্রয়োজন রয়েছে কেননা এ ধরনের ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে গেলে এর অভ্যন্তরীণ গ্রন্থী ত্বকের তেল উৎপাদন করা বাড়িয়ে দেয়। তাই ত্বকের উপরিভাগে আর্দ্রতা এবং পরিচ্ছন্নতা উভয়েরই প্রয়োজন রয়েছে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সারা বছরের সকল মৌসুমেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এর জন্য কিছু ময়েশ্চারাইজারের তালিকা দেখে নেয়া যাক-
ত্বকের জন্য যেকোন উপকরণ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রথমে ত্বকের ধরনের ব্যাপারে জেনে নিতে হয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের উদ্দেশ্যে বর্ণিত যেকোনো ময়েশ্চারাইজার সকল তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারেন না। তবে এক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের জন্য কিছু বিবেচ্য বিষয় অনুসরণ করা যেতে পারে।
যেমন- প্যারাফিন ও কোকোয়া বাটার সমৃদ্ধ ক্রিম উপেক্ষা করে ল্যাকটিক এসিড, গ্লাইকোলিক এসিড এবং স্যালিসাইলিক এসিড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নেয়া। তেলসমৃদ্ধ প্রসাধনী পেরিয়ে জেলি জাতীয় বা হায়ালুরোনিক এসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার ইত্যাদি।
তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্ক্রাব
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে ঘরোয়া স্ক্রাবের জুরি নেই। ঘরোয়া পদ্ধতির স্ক্রাব তৈরি করতে গেলে বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা সম্ভব। তার মধ্যে কিছু প্রস্তুতকরণ পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো।
- প্রথমেই অ্যালোভেরা, শসা এবং ওটমিল নিতে হবে। এখান থেকে একটি শসা এবং এক টেবিল চামচ পরিমাণ ওটমিল এবং ওটমিলের দ্বিগুণ পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিসকলটি ত্বকে স্ক্রাবের মত করে ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহার শেষে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডার সাথে কিছু দই মিশিয়ে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাব প্রস্তুত হয়ে যাবে।
- মুলতানি মাটির সঙ্গে লেবুর আমার না রস এবং কমলার খোসা ও শসার পেস্ট, সামান্য পরিমাণে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য বাজারজাত প্রসাধনের সাথে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে প্রস্তুতকৃত কিছু স্ক্রাব, ফেসওয়াশ ও ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে নিম্নলিখিত কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন-
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করে। রূপচর্চার ব্যবহার করা অন্যতম জিনিস হলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেসপ্যাক। ত্বকে সরাসরি প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান প্রয়োগ করানোর ক্ষেত্রে এই প্যাকগুলি বেশ কার্যকর।
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহারেও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ প্রস্তুত পদ্ধতি উপরের অনুচ্ছেদে বর্ণিত রয়েছে।
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য ত্বকের উজ্জ্বলকারী রূপচর্চা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু ফেসপ্যাক বানিয়ে তৈলাক্ত ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে জেল জাতীয় উপাদান ব্যবহার করেও ত্বক উজ্জ্বল করা সম্ভব।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় এবং তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া স্ক্রাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনা প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার আশেপাশের সবাইকে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন ও এর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url