হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন
হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরো থাকছে হাঁটুর ব্যথা সারানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
অনেকেই আছেন যারা হাঁটুর ব্যথায় অনেকদিন যাবত ভুগছেন কিন্তু এর সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন। যার কারনে তারা বুঝতে পারেন না যে একজন মানুষের বা ব্যক্তির জন্য হাঁটুর ব্যথা এবং এর ঘরোয়া উপাচার সম্পর্কে জেনে রাখা অতীব প্রয়োজন। তাই আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত তথ্য আপনাদের কে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
আমরা জানি প্রাণীদেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গই জীবন চলার পথে অনেক প্রয়োজনীয়। ঠিক তেমনি মানবদেহের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য। দেহের কোন অংশে বিশেষ করে হাঁটুতে যদি তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে জীবনে চলার পথে অনেক বাধা দেখা যায়। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নেই হাঁটুর ব্যথা কেন হয়, হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা, হাঁটুর ব্যথা সারানোর খাবার, হাঁটুর ব্যথা সারানোর ব্যায়াম, হাঁটুর ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
হাটুর ব্যথা কেন হয়
হাঁটুর ব্যথা এই রোগটির জন্য প্রায় অনেক মানুষই নিজের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন না। কারণ এটি অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। আবার অনেকেই জানতে আগ্রহী কেন হয় এই হাঁটুর ব্যথা। আজ চলুন জেনে আসি এর কিছু কারণ। সাধারণত বিভিন্ন কারণে হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু ব্যথা হয় অনেক সময় জুড়ে আবার কিছু ব্যথা হয় থাকে অল্প সময়ের জন্য। নিম্নে হাঁটু ব্যথার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো।
আঘাত জনিত কারণঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আঘাত জনিত কারণেও হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে কোন প্রকার দুর্ঘটনায় প্রাপ্ত আঘাত বা খেলাধুলায় প্রাপ্ত আঘাতের কারণেও সাধারণত এই হাঁটুর ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই এক্সিডেন্টে বা খেলাধুলা করতে গিয়ে যখন হাড়ে আঘাত লাগে তখন শুরু হয় হাঁটুর ব্যাথার সমস্যা।
হাঁটুর সামনে অবস্থিত যে অস্থি থাকে তাকে "প্যাটেলা" বলা হয়। আর যখন এর আশেপাশে থাকা টেন্ডন বা রগে চোট লাগে, ফ্যাকচার হয় অথবা কাল শিরা দেখা যায় তখন হাঁটুর ব্যথা, প্রদাহ এবং ফুলে থাকার মত সমস্যা হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাটুতে ব্যথা পাওয়ার কারণে হাঁটুর হাড় ভেঙে যেতে পারে সে ক্ষেত্রেও এই ব্যথা চিরস্থায়ী হয়ে যেতে পারে। কখনো কখনো হাটুতে ইনফেকশন হয়ে গেলেও হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।
আর্থ্রাইটিসের কারণঃ সহজ ভাষায় বলতে গেলে হাঁটুর এক ধরনের বাত কে আর্থ্রাইটিস বোঝায়। যে সকল আর্থ্রাইটিস হাঁটুর সন্ধিকে আক্রান্ত করে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অস্টিও আর্থাইটিস। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাকে ডিজেনারেটিভ বলা হয়। এই রোগে অস্থি সন্ধির তরুণাস্থি ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে।
প্রাণীদেহে অবস্থিত প্রতিটি সন্ধি বা জয়েন্টের মতো করে হাঁটুর জয়েন্টেও নরম এবং মসৃণ আবরণে কার্টিলেজ দ্বারা আবৃত হাড় থাকে। এই কার্টিলেজ যখন কোন কারণ বশত ক্ষয় হয়ে অমসৃণ হয়ে যায় তখন একটু নড়াচড়াতেই জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয় এবং হাঁটুর জয়েন্ট ফুলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে হাটুতে স্থূলকায় হলেও অস্থিসন্ধিতে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণেও ওস্টি অর্থ্রাইটিস হতে পারে।
তবে সাধারণত কৈশোর এবং যৌবনে থাকা ছেলেমেয়েদের রিউমারটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেশি হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাগত হতে হবে। তবে সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে থাকে।
বয়স জনিত কারণঃ হাঁটুর ব্যথা সাধারণত সব বয়সেই হতে পারে তারপরও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বার্ধক্য জনিত কারণেই হাঁটুর ব্যথা দেখা দেয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয়ের প্রবনতাও বাড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় হাড়ের ক্ষয় এবং সাথেই হাঁটুর ব্যথা।
পেশাজনিত কারণঃ হাঁটু ব্যথার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হিসেবে পেশা জনিত কারণটিও হতে পারে। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি এমন কোন পেশায় জড়িত যেখানে তাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সে ক্ষেত্রে হয়ে থাকা হাঁটু ব্যথাটিকে সাধারণত পেশাজনিত কারণ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত ওজনের কারণঃ সাধারণভাবে বললে বলা যায় যে আমাদের শরীরের ওজন পা বহন করে থাকে। আর সেই পায়ের অস্থিসন্ধি বা কোটি জয়েন্টে ব্যথা হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হতে হয়। আর এই কটির জয়েন্টের ব্যথা বা হাটু ব্যথা হওয়ার অন্যতম আরো একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন। তাই সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দেহে অতিরিক্ত ওজন না হয়।
হাটু ব্যথার চিকিৎসা
দীর্ঘমেয়াদি হাটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, এলোপ্যাথিক চিকিৎসা এবং যোগব্যায়াম ইত্যাদি করা যেতে পারে। নিম্নে এ সকল চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার
সর্বপ্রথম বাহিরের যত রকম জাঙ্ক ফুড খাচ্ছেন তার সবটাই এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ার। তবে ঘরের খাবারেও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করতে হবে। হাঁটুর ব্যথা সারানোর জন্য যে সকল খাবার খেতে হবে তা নিম্ন রূপ।
- ১. খাবারের তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার থাকতে হবে।
- ২. প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ খেতে হবে। দুধের সাথে বাদাম মিক্স করে খেলে খুব বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- ৩. সবুজ শাকসবজি অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।
- ৪. টুনা মাছ, সমুদ্রের মাছও খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
- ৫. ফ্ল্যাক্স সিড এবং জিয়া সিড এ আছে ওমেগা থ্রি এসিড যা আপনার ব্যথা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
হাটুর ব্যথা সারানোর ব্যায়াম
ব্যায়াম মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম মানুষের ওজন বাড়াতে এবং কমাতে দুটোতেই অনেক সাহায্য করে থাকে। আবার অনেকেই ব্যায়াম করে থাকে শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখার জন্য অর্থাৎ তারা ওজন বাড়ানো বা কমানোর জন্য ব্যায়াম করে না। আপনি কিসের জন্য ব্যায়াম করবেন বা কিভাবে ব্যায়াম করবেন তা আপনার ট্রেইনার আপনাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবে।
তাই ব্যায়াম শুরু করতে চাইলে অবশ্যই ভালো ট্রেইনারের পরামর্শ নিতে হবে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে। তবে হাঁটু ব্যথার জন্য স্বাভাবিক কিছু ব্যায়াম আছে যা করলে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। নিম্নে হাঁটু ব্যথার জন্য কয়েকটি ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- ১. চেয়ারে বসে জগিং করা বা সাইকেলিং করা।
- ২. পা লম্বা করে স্ট্রেচ করা।
- ৩. পা দুটো সামনের লম্বা করে ছড়িয়ে বসতে হবে এবার হাঁটুর ভেতরের অংশটা যতটুকু সম্ভব মেয়েদের সঙ্গে মিলাতে হবে আবার হাটু ভাজ করতে হবে। তবে রাখতে হবে হাটু যেন খুব বেশি ভাজ না হয়। সামান্য একটু হাঁটু ভাঁজ করে আবার পাস রোজা করতে হবে। এভাবে প্রত্যেক পায়ে ৫ থেকে ১০ বার থেমে থেমে করতে হবে।
- ৪. সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এমন ভাবে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করতে হবে যাতে করে পায়ের পাতা হিপে লাগে। এবার হাত দিয়ে পায়ের পাতা শরীরের পিছনের দিকে ধরে রাখুন। এবার ডান পা নামিয়ে বাম পা ভাঁজ করতে হবে। এভাবে দু পায়েই পাঁচ থেকে দশ বার থেমে থেমে করতে হবে।
- ৫. উপড় হয়ে শুয়ে পেট বরাবর দুপাশে হাতের তালু ঠেকিয়ে হাতের তালুতে ভর দিয়ে মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত পিছনের দিকে ধনুকের মতো বাঁকা করতে। এভাবে ৫ থেকে ১০ বার থেমে থেমে করতে হবে।
- ৬. সোজা হয়ে শুয়ে দু পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে কোমরের অংশ উপরে তুলতে হবে আবার আস্তে আস্তে কোমর নিচে নামাতে হবে। এভাবে ৫ থেকে ১০ বার থেমে থেমে করতে হবে।
ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই আরামদায়ক জায়গায় বসে অথবা শুয়ে ব্যায়াম করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প অল্প করে ব্যায়াম করতে হবে। সময়ের সাথে সাথে ব্যায়ামের সময়টাও বাড়াতে হবে।
এ সকল ব্যায়ামের পাশাপাশি হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো কেউ লক্ষ্য করতে হবে।
হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
হাটুর ব্যথার বিষয়ে অনেক কিছুই জানা হলো। এবার জানব হাটুর ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় যা আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিবে। নিম্নে এই ব্যথা থেকে মুক্তির কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- ১. এক গ্লাস পানিতে আধা কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদী হাটু ব্যথা থেকেও আরাম দিতে পারে।
- ২. প্রতিদিনের গোসলের পানিতে বড় চামচের এক চামচ ইপসম লবন মিশিয়ে তাতে আধা ঘন্টা আপনার হাটু ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
- ৩. প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ ঔষধি গুণের কারণে সবার কাছেই সুপরিচিত। এক গ্লাস পানিতে হলুদ গুঁড়া এবং আদা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে এবং প্রতিদিন তা পান করতে হবে।
- ৪. ব্যথা যুক্ত স্থানে এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
- ৫. সরিষার তেলে দুই কোয়া রসুন থেতলে সেটিকে গরম করে হাঁটুর ব্যথায় আলতো ভাবে মালিশ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- ৬. ব্যথার ধরন অনুযায়ী ঠান্ডা অথবা গরম পানি সেক দেয়া যেতে পারে।
- ৭. হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য প্রতিদিন খালি মুখে একটু আদা চিবিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- ৮. আদার তেল হাঁটুর ব্যথায় মালিকের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ৯. সরিষার তেলে একটু কর্পূর মিশিয়ে আলতো হাতে মালিশ করলেও ব্যথাতে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
- ১০. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলেও ব্যথায় উপকার মেলে।
- ১১. কেরাসিন তেল, পান খাওয়ার চুন এবং হলুদ একসাথে গরম করে ব্যথাযুক্ত স্থানে প্রলেপ দিয়ে পরিষ্কার কাপর দিয়ে পট্টি করে রাখতে হবে এতে অনেক বেশি আরাম হবে।
- ১২. ব্যথা যুক্ত স্থানে বরফের তিন চার টুকরো তোয়ালেতে নিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে।
হাটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
আয়ুর্বেদ শব্দটি হচ্ছে দুটি সংস্কৃত শব্দের মিলন। অর্থাৎ আয়ুর শব্দের অর্থ হচ্ছে জীবন এবং বেদ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞান। এবং এই দুটি শব্দের মিলনে বা সংযোগে উৎপত্তি হচ্ছে আয়ুর্বেদ শব্দটির। সংস্কৃত এই শব্দ আয়ুর্বেদের একত্রিত অর্থ হচ্ছে 'জীবনের বিজ্ঞান'। রোগের নির্ণয় করে তার সঠিক নিরাময় এবং রোগীর স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নতি হচ্ছে আয়ুর্বেদের মূল উদ্দেশ্য।
এটি প্রাচীনকালের চিকিৎসা পদ্ধতি যার উৎপত্তিস্থল হচ্ছে ভারত। তবে সময়ের সাথে সাথে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা ভারতসহ আরো অন্যান্য দেশেও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে বর্তমানে এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনেক জায়গায় হারবাল চিকিৎসা এবং অল্টারনেটিভ ট্রিটমেন্ট নামেও পরিচিত।
প্রতিটি রোগের জন্যই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা খুব উপকারী সাব্যস্ত হয়েছে। হাঁটুর ব্যথা সারাতেও এর জুড়ি নেই বললেই চলে। নিম্নে হাঁটুর ব্যথার জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার কিছু টিপস বা তথ্য দেয়া হল।
- ১. জলপাই তেল এবং সৈন্ধ্যব লবণ একত্রিত করে ব্যথা যুক্ত স্থানে অর্থাৎ হাটু সহ হাটুর চারপাশে লাগিয়ে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
- ২. আকন্দ ফুলের পাতায় একটু সরিষার তেল মাখিয়ে আগুনের তাপ পাতায় নিয়ে হাঁটুর ব্যথায় সেক দিলে ব্যথার উপশম হয়।
- ৩. প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এক বালতি উষ্ণ গরম পানিতে সৈন্ধব লবণ মিশ্রিত করে এর ভেতর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটু ডুবিয়ে রাখতে হবে।
- ৪. এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামচ আখরোটের গুড়া, সামান্য মাত্রায় হলুদ এবং এক চামচ বাদাম গুড়া ভালোভাবে মিশ্রিত করে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ফুটিয়ে তারপর খেতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা হাটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে অন্য সবাইকে হাঁটুর ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url