মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় ও এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকের আমাদের এই আলোচনা। এই আলোচনায় আরো যুক্ত করা হয়েছে মেরুদন্ডের হাড় কয়টি ও এর বিস্তারিত আলোচনা। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিজেকে মেরুদন্ডের হাড় সম্পর্কীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ করে দিন।
মেরুদন্ডের হাড় ও ব্যথা নিয়ে আমরা সবাই হেলাফেলা করে থাকি। জীবনকে অযত্নে ফেলে দিয়ে মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে অনেকে জানার চেষ্টা করেন না। তাহলে চলুন আজকে এই ব্যথার বিশ্লেষিত কারণ, মেরুদন্ডের হাড় কয়টি ও ইত্যাদি আকর্ষণীয় তথ্য সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভূমিকা
গবেষকরা জানিয়েছেন প্রতিমাসে প্রায় ২২ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ মেরুদন্ডের ব্যথা ও হাড় ক্ষয়ের মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।বিভিন্ন রকম কারণে মেরুদন্ডে ও এর হারের মধ্যে নানাবিধ সমস্যা দেখা যেতে পারে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো মেরুদন্ডের গঠন, মানবদেহের ২০৬ টি হাড়ের নাম, হাড় ক্ষয় কেন হয়, মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ এবং হাড় ক্ষয় রোধের খাবার সম্পর্কে।
মেরুদন্ডের গঠন
মূলত ব্রেনস্টেম এর একটি ধারাবাহিক এবং শারীরবৃত্তীয় গঠন মেরুদন্ড। প্রাণীদেহে অংশ ও মস্তিষ্কের মধ্যে সংযোগ গঠনের মূল হলো মেরুদন্ড। মানবদেহের হিসেবে পুরুষদের ক্ষেত্রে মেরুদন্ডের পরিমাপ করলে এটি প্রায় ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ১৭ ইঞ্চি বা ৪৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রয়েছে। এটি দেহের কটিদেশীয় এবং সার্বিকাল অংশে বেড়ে ওঠে।
সারভিকাল অঞ্চল কাশেরুকা অঞ্চল পর্যন্ত প্রসারিত হয়ে থাকে এবং এটি সংবেদনশীল ইনপুট প্রদান করে। ঘাড়ের গোড়া থেকে শুরু হয়ে প্রথম কটিদেশীয় অংশের কাশেরুকা পর্যন্ত একটানা চলতে থাকে। মানবদেহে মোট ৩৩ টি কশেরুকা নিয়ে মেরুদন্ডের গঠন পাওয়া যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রেই কোশেরুকার সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে যেমন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানবদেহের মেরুদন্ড প্রায় ২৬টি কশেরুকা পাওয়া যাবে।
যেহেতু মেরুদণ্ড মস্তিষ্কের সাথে জড়িত তাই মস্তিষ্ক এটির কশেরুকাতে থাকা ছিদ্রের মাধ্যমে শরীরের স্নায়ু প্রেরণ করে থাকে। কশেরুকার দুটি অংশের মধ্যে যথাক্রমে বড় অংশকে দেহ বলা হয় এবং কেন্দ্রে থাকা কশেরুকাকে সেন্ট্রোম নামে অভিহিত করা হয়। সহজ ভাষায় মানবদেহের মাথার অংশ থেকে সাতটি অস্থি যা কশেরুকা হিসেবে পরিচিতি তা ঘাড়ের অংশ, তার নিচ থেকে শুরু করে বারোটি অস্থি পিঠ গঠন করে এবং বাকি পাঁচটি অস্থি কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মানবদেহের ২০৬ টি হারের নাম
মানবদেহে থাকা মোট হাড়ের সংখ্যা ২০৬ টি। এই ২০৬ টি হাড় কিছু শ্রেণীতে বিভক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১২৬ টি হাড়কে উপাঙ্গীয় হাড় বলে এবং বাকি ৮০ টি কে অক্ষীয় হাড় বলে। এ সকল হাড়গুলোর নাম নিম্নে তালিকাভুক্ত করা হলো।
ঊর্ধ্ব বাহুতে থাকা ৬০টি হাড়ের নামঃ
- হিউমেরাস - ১×২ টি
- রেডিয়াস-১×২ টি
- আলনা-১×২ টি
- কার্পাল-৮×২টিঃ
- স্ক্যাফয়েড, লুনেট, ট্রাইকুয়েট্রাল, পিসিফর্ম, ট্রাপোজিয়াম, ট্রাপোজয়েড, ক্যাপিটেট এবং হ্যামেট।
- মেটাকার্পাল-৫×২ টি
- ফ্যালাঞ্জেস-১৪×২ টি
- নিম্নবাহুর ৬০ টি হাড়ঃ
- ফিমার- ১×২
- টিবিয়া- ১×২
- ফিবুলা- ১×২
- প্যাটেলা- ১×২
- টার্সাল- ৭×২
- মেটা টার্সাল- ৫×২
- ফ্যালাঞ্জেস- ১৪×২
বক্ষ অস্থির মোট চারটি হাড়ের নামঃ ২টি ক্লাভিকল এবং ২টি স্ক্যাপুলা
শ্রোনি বা কোমরের অস্থি ৩ টি হাড় নিয়ে গঠিত হলেও তিনটি একত্রে মিলে দুটি হিপবোন গঠন করে।
কোমরের অস্থি চক্রের হাড়ের নামঃ ১টি ইলিয়াম, ১টি ইশ্চিয়াম, ও ১টি পিউবিস অস্থি।
এবারে ৮০টি অক্ষীয় হাড়ের শ্রেণীবিভাগঃ ২৯টি করোটি, ২৫টি বক্ষপিঞ্জর এবং ২৬ টি মেরুদণ্ডের হাড় হিসেবে পরিচিত।
করোটির ৮টি অস্থিঃ
- ফেনীর স্ফনয়েড-১টি
- প্যারাইটাল-১×২টি
- অক্সিপিটাল- ১টি
- এমথয়েড-১টি
- টেম্পোরাল-১×২টি এবং
- ১ টি ফ্রান্সে ফ্রন্টাল।
- ভোমার-১টি
- ম্যান্ডিবল-১টি
- লাক্রিমাল-১×২টি
- প্যালেটাইন-১×২টি
- ম্যাক্সিলা-১×২
- জাইগোম্যাটিক-১×২
- ইনফিরিয়র ন্যাসাল কংকা-১×২
- ন্যাসাল অস্থি-১×২
সাতটি কর্নাস্থিঃ
- ২টি ম্যালিয়াস
- ২টি ইনকাস
- ২টি স্টেপিস এবং
- ১টি হাইওয়েড।
বক্ষ পিঞ্জরে ২৫ টি হাড়ের নামঃ ২৪ টি পর্শুকা এবং ১টি স্টার্নাম।
মেরুদন্ডের ২৬ টিঃ ৭টি সারভইকাল হাড়, ১২টি থোরাসিক হাড়, ৫টি লাম্বার হাড়, ১টি স্যাক্রাম হাড়, এবং সবশেষে ১টি কক্সিস হাড়।
মেরুদন্ডের হাড় কয়টি
সাধারণত মেরুদন্ডের হাড় কয়টি বললে উত্তরে ২৬ টি অস্থির কথা বলা হয়। তবে স্ট্যান্ডার্ড ও আধুনিক মেডিকেলের বই মোতাবেক মেরুদন্ডে মোট হার্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩৩টি। তার মধ্যে উপরিভাগের কিছু অংশ অত্যন্ত নমনীয় যারা ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্কের সাহায্যে ২৪ টি ধারাবাহিকভাবে থাকে। এর মধ্যে-
৭টি সার্ভাইকাল কশেরুকা
১২টি থোরাসিক কশেরুকা
৫ টি কটিদেশীয় কশেরুকা
নিম্নভাগের বাকি নয়টি কষ্টকর মধ্যে-
৫টি স্যাক্রাল কশেরুকা এবং ৪টি কক্সিক্স বা কক্সিজিল ভার্টাব্রে এর মিশানো অস্থি।
এছাড়াও মেরুদন্ডের ৩১ জোড়া স্নায়ু রয়েছে।
হাড় ক্ষয় কেন হয়
কিছু অভ্যন্তরীণ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন শতাংশ মানুষ হাড় ক্ষয় সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যাকে মেডিকেলের ভাষায় অস্টিওপরোসিস বলা হয়। আর ক্ষয় এমন একটি রোগ যার ভুক্তভোগীরাই অনেক সময় তার টের পাননা। তবে গণনার অনুসারে জানা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা এই হার ক্ষয় রোগে ভুক্তভোগী।
হাড় ক্ষয় রোগের কিছু কারণ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা- নারীরা বিষে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হলো শরীরে তোদের নামক এক হরমোনের ঘাটতি যা মেনোপজের পর কমে যায়। তাছাড়া ডিম্বাশয়ের অপসারণও অস্টিওপরোসিস এর একটি কারন। এছাড়া জিনগত কারণ, খাদ্যাভাসের চাঞ্চল্যকর পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার মানের উপর নির্ভর করেও হাড় ক্ষয় এর মত রোগ হয় যা মেরুদন্ডে ও মাংসপেশিতে প্রবল ব্যথার অনুভূতি দেয়।
তাই মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় বের করতে শুরুতেই হাড় ক্ষয়ের সমাধান এর চেষ্টায় নামতে হবে। হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস রোগের আরেক কারণ হলো অলস প্রকৃতির জীবনযাপন। কায়িক শ্রমের অভাবে এবং অপুষ্ট জনিত কারণে অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় এর মত রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে একভাবে বসে থাকা কিংবা শোয়ার ক্ষেত্রে আঁকাবাঁকা ভঙ্গির কারনে হাড় ক্ষয়, বেশিরভাগ মেরুদন্ডের হারে সমস্যা দেখা দেয়।
মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় এর জন্য অবশ্যই সাপ্তাহিক জীবন থেকে অলসতা দূর করতে হবে এবং কায়িক শ্রমের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব, থাইরয়েডজনিত সমস্যা যেমন হাইপার থাইরয়েডিজম, হরমোনের ভারসাম্যে অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ধূমপান, মদ্যপান ও মাদক জাতীয় দ্রবন সেবনের ফলে হাড় ক্ষয় রোগ দেখা দেয়।
এন্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বা টেররের জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে অস্টিওপরোসিস রোগ হয়।
মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ
দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ক্ষয়ের রোগকে অস্টিওপরোসিস নামে অভিহিত করা হয়। হাড় ক্ষয়ের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও প্রায় অনেক বার এই রোগটি যাচাই করতে পারে না। পৃথকভাবে মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণগুলো হলোঃ
- প্রতিনিয়ত মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব হওয়া
- ঘর ও কোমরে ব্যথা অনুভব
- প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তাদের কুজো হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায় যার ফলে মনে হয় তাদের উচ্চতা কমে যাচ্ছে
- মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের ফলে শরীর বাঁকা হওয়ার মতো আকৃতি নেওয়া
- মানবদেহের পাঁজরের হাড় গুলো নিম্নস্তরে বেঁকে পড়ে
- অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব ইত্যাদি।
মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
মেরুদন্ডের ব্যথা বিভিন্ন কারণে উদ্ভব হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত মেরুদন্ডের ব্যথা হাড় ক্ষয়ের জন্যই হয়ে থাকে। মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে প্রাত্যহিক জীবনে নিম্নলিখিত কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করা যেতে পারে।
- ভারী ওজন বহন করার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া
- নিয়মিত শরীরচর্চা বা যোগাসন অনুশীলন করা
- দেহ ভঙ্গিকে সমান্তরাল বা সোজা করে তোলা
- ঝুঁকে বসা থেকে নিজেকে বিরত রাখা
- অধিক উচ্চতা সম্পন্ন জুতা পরিহার করা
- অধিক সময় একই স্থানে এবং একই দেহ ভঙ্গিতে বসে না থাকা। ৪৫ মিনিটের অন্তরে অন্তরে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে দেহকে নাড়াচাড়া দেয়া।
- দেহে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ঘাটতি পূরণ করা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন গ্রহণ করলে দেহের ক্ষয় রোধ হ্রাস পায় এবং মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা। ধূমপান স্বাস্থ্যঝুঁকির এক প্রধান কারণ। তাই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন দ্রব্য থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
- সমান্তরাল পরিবেশে ঘুমানোর অভ্যাস করে তোলা। অতিরিক্ত উঁচু কিংবা নরম বিছানায় না শুয়ে সোজা এবং খানিকটা শক্ত জায়গায় ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলতে হবে।
হাড় ক্ষয় রোধের খাবার
হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস এ আক্রান্ত হলে দেহভঙ্গুর হয়ে যায় এবং শরীর ও হার দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য অবশ্যই প্রথমে হাড়কে মজবুত এবং শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নিত্যদিনের খাবার পরিবর্তন আনা। স্বাস্থ্য বিভাগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে কিছু খাবার এর উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর অভাবে শরীরে হাড় ক্ষয় দেখা যায়।
তাই সঠিক পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ সম্ভব। বিভিন্ন রকম দুগ্ধ জাত পণ্য যেমন দুধ, দই, ইত্যাদি গ্রহণের ফলে এই ঘাটতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। ভিটামিন ডি এর একটি উত্তম উৎস হলো দই। সাথে এটিকে যুক্ত চাঁদপূর্ণ হওয়া থেকে ক্যালসিয়ামের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে থাকে। এছাড়া কাঠবাদাম কমলা বা ভিটামিন সি জাতীয় সবুজ শাকসবজি গ্রহণে তা চমৎকার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
লেখক এর মন্তব্য
মেরুদন্ডের সমস্যায় ভুক্তভোগী আমাদের সমাজের সর্বত্রই খুঁজে পাওয়া যায়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে রাখা দরকার। আশা করি উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মেরুদন্ডের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার উপর আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে বা আপনার কোন মন্তব্য আমাদেরকে জানাতে চাইলে অবশ্য আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং এই পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার আশেপাশের মানুষকে মেরুদন্ডের ব্যথা কিংবা ক্ষয় রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url