বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা ও বাংলাদেশের জলবায়ু

বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা ও ঋতু বৈচিত্র্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের এই আলোচনা, আশা করি বিস্তারিত জানতে সবাই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়বেন. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ রূপের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা ও বাংলাদেশের জলবায়ু
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রায় কম বেশি আমরা সবাই জানি, তারপরও চলুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে আমাদের রূপবতী, গুণবতী, চির সৌন্দর্যময়ী দেশকে একটু নতুন করে জানার চেষ্টা করি।

ভূমিকা

রূপে গুণে কোন অংশেই কমতি নেই আমাদের এই দেশ বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জলবায়ু, নদ - নদী এবং শস্য শ্যামলা ধান ক্ষেত পাহাড় পর্বত সবকিছু মিলিয়ে এক অপরূপ রূপের লীলাভূমি এই দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মূলে রয়েছে এদেশের নদ নদীর সৌন্দর্য, বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশের জলবায়ু, এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পাহাড়-পর্বত, ঋতু বৈচিত্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

বাংলাদেশের জলবায়ু

সাধারণত কোন একটি সুনির্দিষ্ট স্থানের সুদীর্ঘ সময়ের জন্য ৩০ - ৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থার হিসাব কে জলবায়ু বলা হয়। আবার একটি বিশাল অঞ্চলের বা নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুমন্ডলের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থাকেও বলা হয়ে থাকে। একটিকে সাধারনত বিশাল এলাকা জুড়ে নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হলেও সমুদ্রের খুব কাছে থাকার কারণে এখানকার শীত ও গরমের তীব্রতা অন্যরকম এক প্রচন্ড রুপ ধারণ করে। তবে এর উপর মৌসুমী বায়ুর প্রভাব এতটাই বেশি যে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিতি লাভ করে।

বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় মৌসুমী জলবায়ুরও ভূমিকা অপরিসীম। এর উৎপত্তি 'মওসুম' নামক আরবি শব্দ থেকে যার বাংলা অর্থ হচ্ছে ঋতু। সুতরাং বলা যায় যে, মৌসুমী জলবায়ু বলতে আমরা বুঝি ঋতুচক্র ভেদে জলবায়ুর যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত করা হয় তাকে। এই জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল - শুষ্ক শীতকাল এবং উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল।

আরো বলা যায় যে, বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটানো মৌসুমীর জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে জলবায়ুর কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবের কারণেই বৃষ্টিপাত ঘটিত হয় যার প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে।

বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রকারভেদ : প্রকারভেদ বলতে গেলে বলা চলে, বাংলাদেশের জলবায়ুকে তিনটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে মৌসুমী বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও বার্ষিক তাপমাত্রার ভিত্তিতে । যথা -

গ্রীষ্মকাল : মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলার ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল চলমান থাকে। সূর্য এই সময়ে কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়ার কারণে এই ঋতুতে তাপমাত্রা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। গ্রীষ্মকালকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু বলে গণনা করা হয়। গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বৃষ্টিপাত এবং কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় বাংলাদেশের বৃষ্টিপাতের বার্ষিক হারের প্রায় শতকরা ২০ ভাগ গ্রীষ্মকালেই হয়ে থাকে।

বর্ষাকাল : জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলার জ্যৈষ্ঠ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বর্ষাকাল থাকে। এ সময়ে আকাশ মেঘে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকে যার কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষাকালের সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, সূর্য বাংলাদেশের উপর প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। তবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে তাপমাত্রার তেমন কোন প্রভাব পরেনা। এ সময়ে বর্ষার শেষের দিকে মাঝে মাঝে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানতে দেখা যায়।

শীতকাল : নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলার কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের শীতকাল থাকে। পরিলক্ষিত যে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের পর থেকেই তাপমাত্রার তীব্রতা অনেকটা কমতে থাকে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে জানুয়ারি মাসে। বাংলাদেশে এসময় বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে তবে উপকূলীয় ও পাহাড়ে এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে যদিও বা এ সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০ সেন্টিমিটার এর অধিক হয় না।

নদ নদীর সৌন্দর্য

বাংলাদেশ প্রধানত নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় এদেশের নদ - নদীরও অবদানের শেষ নেই। শিশুকাল থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষেরা এই নদ নদীর সাথে ওতপ্রোতব ভাবে জড়িত। আমাদের এই নদীমাতৃক দেশে বয়ে চলেছে নিজস্ব সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট বড় অসংখ্য নদ নদী।

বাংলাদেশের সবুজ শ্যামলা সুজলা ও সুফলা করে রাখতে বিশাল বড় অবদান রয়েছে এই নদ নদীর। তবে বর্তমান সময়ে দখল ও দূষণের কারণে নদী তার রুপ, যৌবন, সৌন্দর্য হারাতে বসেছে প্রায়।
তবুও এখনো নজর কারে এমন অনেক নদনদী বর্তমান রয়েছে বাংলাদেশের মাঝে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এদেশের প্রান্তরে প্রান্তরে এক বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে নদীর।
এর সৌন্দর্যে মোহিত বাংলাদেশের প্রায় ছোট-বড় সব মানুষ। বাঙ্গালীদের হৃদয়ে প্রাচীনকাল থেকেই নদীর মত বয়ে চলেছে নদী প্রেম ও নদী ভক্তি। বাংলাদেশের নদী ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিজস্ব রূপে সাজিয়ে তুলে নিজেকে।

এভাবে বলতে পারি যে, বাংলাদেশের নদী একেক সময় একেক রকম রূপ ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ বর্ষায় নদী তার রূপ ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে মানুষের মন কাঁড়ে।আবার সম্পূর্ণ উল্টা চিত্র আমরা দেখতে পাই শুকনো মৌসুমে। ঋতু বৈচিত্র্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর প্রভাব নদ নদীর উপরে সমান ভাবেই পড়ে।

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নদীর সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং একে রক্ষার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সবাই।তাই মানুষের মাঝে নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার এ পালিত হয় বিশ্ব নদী দিবস। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় অবদান রাখা প্রধান নদ নদী সম্পর্কে বিস্তারিত।

বাংলাদেশের প্রধান নদ নদী : ছোট এবং বড় উভয় মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাতশ নদনদী রয়েছে। এসব নদীর মধ্যে যেসব নদীতে আমরা প্রধান হিসেবে গননা করি তা হল - পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী প্রভৃতি।

পদ্মা : বাংলাদেশের প্রধান নদী হিসেবে পদ্মাকে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়। পদ্মা নদীর উৎপত্তি হয়েছে হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। মহানন্দা ও পুনর্ভবা হচ্ছে পদ্মার প্রধান উপনদী।

মেঘনা : বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী হচ্ছে মেঘনা। যাকে সাধারণত বাংলাদেশের চিরযৌবনা নদী বলা হয়ে থাকে। সোমেশ্বরী, কংস, গোমতী প্রভৃতি হচ্ছে মেঘনার প্রধান উপনদী।

যমুনা : বাংলাদেশের আরেকটি প্রধান নদী হচ্ছে যমুনা যার পূর্ববর্তী নাম ছিল জোনাই। এর উৎপত্তিস্থল বলা হয় হিমালয় পর্বতকে। করোতোয়া হচ্ছে যমুনার দীর্ঘতম উপনদী।

ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্রের পূর্বনাম ছিল লোহিত্য। বলা হয় এই নদী বাংলাদেশের প্রধান নদ নদী গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করেছে। এই নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে হিমালয়ের কৈলাস পর্বতের শৃঙ্গের মানস সরোবরে। যমুনা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা নদী এবং উপনদী হচ্ছে - দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা, করোতোয়া প্রভৃতি।

কর্ণফুলী : কর্ণফুলী বাংলাদেশের আরেকটি প্রধান নদী হলেও বাংলাদেশের অন্যতম খরশ্রোতা নদী হিসেবেও এটি বহুল পরিচিত। আসামের লুসাই পাহাড়ে এর উৎপত্তি। কর্ণফুলী নদীর উপরে বাঁধ দিয়েই নির্মিত হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। চেঙ্গি, কাসলঙ্গ, মাইনী, রাখিয়াং প্রভৃতি হচ্ছে এর উপনদী।

বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত

আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে মোট কয়টি সমুদ্র সৈকত আছে। আমি কিন্তু জানতাম না তবে সমুদ্র সৈকতের প্রতি ভালবাসা থাকার কারণে এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ইচ্ছাতেই জানতে পারি বাংলাদেশের অনেকগুলো সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে। বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় মূল ভূমিকায় রয়েছে সমুদ্র সৈকত। এর প্রতি ভালবাসা থাকায় এবং আমার চেষ্টায় আমি যে সকল সমুদ্র সৈকতের নাম গুলো সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি তা আপনাদের জন্যও নিচে উল্লেখ করলাম।
  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
  • ইনানী সমুদ্র সৈকত
  • চরগঙ্গা মতি সমুদ্র সৈকত
  • সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকত
  • বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত
  • পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
  • পার্কি সমুদ্র সৈকত
  • সোনারচর সমুদ্র সৈকত
  • কাট্টলী সমুদ্র সৈকত
  • মান্দার বাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
  • লালদিয়া সমুদ্র সৈকত
  • সোনা কাটা সমুদ্র সৈকত
  • সোনাদিয়া সমুদ্র সৈকত
  • কতকা সমুদ্র সৈকত
  • গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত
  • আকিলপুর সমুদ্র সৈকত
  • টেকনাফ সমুদ্র সৈকত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পাহাড় পর্বত

বাংলাদেশে রয়েছে সবুজ শ্যামলের ঘিরা জমির অপরূপ সৌন্দর্য, নদ-নদী, হাওড়, চলন বিল। এর সৌন্দর্য এখানেই শেষ নয় কারণ আমাদের দেশে রয়েছে পাহাড়-পর্বতও। তাই বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় আরো একটি যুক্ত নাম পাহাড় পর্বত। বিশেষ করে চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলেই পাহাড়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

পাহাড়ের সৌন্দর্য শুধুমাত্র মেঘ, কুয়াশা এবং সবুজ দৃশ্যেই আবদ্ধ নয়, বরং এই পাহাড়ের গহীনে লুকিয়ে আছে কতশত রহস্য, ইতিহাস এবং অসংখ্য ঝরনা আর রোমাঞ্চকর সব পাহাড়ি ট্রেইল। এসব পাহাড়ের আরো দেখা যায় পাহাড়ের সংস্কৃতি ও বৈচিত্র। পাহাড় পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম সংখ্যায় পাওয়া যাবে। পাহাড় হচ্ছে রোমাঞ্চকর এক সুন্দর দৃশ্যের নাম। নিচে আপনাদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পাহাড়ের নাম দেয়া হল।
  • সাফা হাফং
  • চন্দ্রনাথ
  • থিংদোউল তেতলাং
  • কাপ্তাই
  • মোদক মুয়াল
  • তাজিংডং
  • নীলগিরি
  • নাছাই হুম
  • মাইথাই জামা হাফং
  • দুমলং
  • কেওক্রাডং
  • যোগী হাফল

ঋতু বৈচিত্র্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য 

আমাদের শস্য শ্যামলা সবুজ সুফলা বাংলাদেশ হচ্ছে ষড়ঋতুর দেশ। ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো মনো মুগ্ধকর হয়ে ওঠে। নিজের চারিদিকে যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই শুধুমাত্র সবুজ শ্যামলা সুফলা এবং মনকে চুরি করার মতো আরো সৌন্দর্য নিয়ে সেজে ওঠে আমাদের এই বাংলাদেশ। একেক ঋতুতে এক এক রকম সাজে সেজে ওঠে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে  বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকরা অনেক কবিতা লিখেছেন। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত এই ছয় ঋতুতে আবদ্ধ আমাদের বাংলাদেশের সৌন্দর্য।

বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা

আমাদের বাংলাদেশের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পৃথিবীর আর কোথাও হয়তো পরিলক্ষিত করা সম্ভব না। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ আর এই ষড়ঋতুই বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে আরো বেশি বৈচিত্র্যময় এবং আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে। ঋতু বৈচিত্র্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই ফুটে ওঠে যা কল্পনা করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের উঁচু-নিচু পর্বত শৃঙ্গ, ঘাসে ভরা সবুজ মাঠ, ভিন্ন ভিন্ন শস্যে ভরা কৃষকের জমির ক্ষেত চারপাশ দেখতে কতই না সুন্দর লাগে। এদেশের দ্বীপ, সমুদ্র সৈকত সবকিছুই যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি দেয়। আমাদের দেশের নদ - নদী, চলন বিল, হাওর, মাঠ, ঘাট সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশে তৈরি হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। যা প্রতিটি মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তুলে।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনার বন্ধুবান্ধব পরিবার পরিজনদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন। এবং আমাদের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত বা কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের পোষ্টের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url