সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়বস্তুর নিয়ে থাকছে আজকের আমাদের আলোচনা ভিত্তিক এই পোস্টটি। এছাড়াও থাকছে গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। তাই আজকে আমাদের সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার আলোচনা ভিত্তিক এই পোষ্টের সাথে থাকুন এবং পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন সজনে পাতার বিষয়ে বিস্তারিত সব তথ্য আপনি জানতে পারেন।
সজনে আমাদের সকলের খুবই জনপ্রিয় সবজি। সজনে দিয়ে বিভিন্ন প্রকার রান্না করা যায়। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Moringa oleifera। সজনে পাশাপাশি সজনে পাতাও আমাদের অনেক উপকারী। শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজনে পাতায় আছে বলে সজিনাকে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়।
ভূমিকা
সবজি হিসেবে সজনে ডাঁটা খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এবং সজনে পাতাকে কিন্তু অলৌকিক পাতা হিসেবেও আক্ষায়িত করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব হিসেবে এটি বহুল পরিচিত। সজনে পাতাকে বিভিন্ন গবেষকরা, নিউট্রিশন এর সুপার ফুড বলে থাকেন। এবং একই সঙ্গে এই গাছকে চমৎকারী গাছও বলা হয়ে থাকে। সজনে গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের এক বৃক্ষ।
সাধারণত বাংলাদেশে ডাল বা অঙ্গজ জননের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সজনে চাষ করানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে সজনের ডাল বা বীজ রোপনের জন্য গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ এপ্রিল মাসের অর্ধেক সময় থেকে গ্রীস্মের শেষ পর্যন্ত সময়কে বেছে নেয়া হয়। সজনে পাতার পুষ্টিগুণ, সজনে পাতার ব্যবহার, সজনে পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম, সজনে পাতার রসের উপকারিতা , সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ
সজনে পাতা মানবদেহে পুষ্টি জনিত অভাব পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সজনে পাতার অনেকগুলো বিশেষ গুনাগুন বিস্তৃত রয়েছে যার মধ্যে বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এগুলো ছাড়াও প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান সজনে পাতার মধ্যে থাকে। এতগুলো পুষ্টি একসঙ্গে থাকার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম সজনেপাতা থেকে যা পাওয়া যায় তা নিম্নে দেওয়া হল।
- শর্করা ৫.১ গ্রাম,
- ফাইবার ২.০ গ্রাম,
- প্রোটিন ৯.৪০ গ্রাম,
- ক্যালসিয়াম ১৮৫ মিলিগ্রাম,
- জিংক ০.১৬ মিলিগ্রাম,
- ম্যাগনেসিয়াম ১৪৭ মিলিগ্রাম,
- সোডিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন এ ২৬ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন সি ৬৯.৯ মিলিগ্রাম।
সজনে পাতা ভাজি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায় মুখে রুচি আসে। ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোন অংশ ফুলে উঠলে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মত ব্যবহার করলে ফোলা ভাব বা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দাঁত বা মাড়িতে কোন সমস্যা থাকলে সজনে পাতা এক বা দুই মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুলি করলে এই সমস্যা সমাধান হবে।
কয়েকটি প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সজনে ও সজনে পাতায় পাওয়া ইনসুলিন জাতীয় প্রোটিন রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে পারে। পাতায় পাওয়া উদ্ভিদের রাসায়নিক পদার্থ গুলি শরীরের চিনিকে আরো ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে সহায়তা করে তা প্রভাবিত করতে পারে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। সজনে পাতার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
প্রতিদিন কেউ দুধ খেতে না পারলে এক চামচ করে সজনে পাতার গুড়া খেতে পারেন। এতে প্রচুর জিংক থাকে এবং পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন বিদ্যমান যা অ্যালুনিমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সজনে পাতায় পুষ্টিগুণ এত বেশি যে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ সহযোগিতা করে। এছাড়াও পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খাবার সহজে হজম না হওয়া, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকা বুক জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
সজনে পাতার ব্যবহার
সজনে পাতা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এর ব্যবহারে লুকিয়ে রয়েছে । সজনে পাতার ছোট ছোট করে কেটে শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়ার বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। এটি ভালোমতো রান্না করে খাওয়ার ফলে শরীরের নানা রকম ব্যথা কমে যায় , কৃমি জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং বাত-ব্যথার মতো সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
সকাল বেলা ২ চামচ সজনে পাতার গুড়া অর্ধেক কাপ পরিমাণ গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং শরীরের ব্যথা মুক্ত হওয়া যায়। এছাড়াও সজনে পাতা দিয়ে ছোট মাছ চচ্চড়ি খুবই মজা লাগে। সজনে পাতার গুড়া দিয়ে চা কফিও তৈরি করা যায়। সজনে পাতার গুড়া সুপ তৈরি করে খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকার পাওয়া যায়।
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সজনে পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের যদি জানা থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন জটিল রোগগুলো থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতে পারি। কেবল রোগ মুক্তির জন্যই নয়, গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা অনেক। তাই সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সজনে পাতার উপকারিতা
সজনে পাতার ব্যবহার এবং উপকারিতা দুইটিই আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই প্রথমে আমরা জানব এর উপকারিতা সম্পর্কে। নিম্নে সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে সজনে পাতার উপকারিতাঃ সজনে পাতায় বেশ ভালো পরিমাণে আয়রন ও জিংক জাতীয় উপাদান রয়েছে। ফলে সজনে পাতা সেবনে আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন সজনে পাতা খাবারের মতো করে সেবন করার ফলে আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আয়রনের ঘাটতি দূর হবে এবং রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
লিভার ভালো রাখতে সজনে পাতাঃ সজনে পাতার অনেক ঔষধি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এ সকল উপাদান আমাদের যকৃতকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে অনেক সহায়তা করে। সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যকৃতের কোষগুলোকে সুস্থ এবং সচল রাখতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া সজনে পাতার ভিতরে পলিকোল নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা যকৃত থেকে বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করতে সহায়তা করে যার ফলে যকৃত সুস্থ এবং সচল থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতাঃ সজনে পাতায় অ্যান্টি-অক্সাইড এবং আইসোথিয়োকাইনেটস নামক উপাদান গুলো রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন সজনে পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ত্বকের বার্ধক্য রোধ করেঃ সজনের তেল এবং সজনে পাতার গুড়া ত্বকের বলি রেখা এবং ত্বকের ক্ষত দূর করে। এছাড়া সজনে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের কুঁচকানো ভাব, বলি রেখা এবং বিভিন্ন দাগ ছোপ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে খুব করে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করেঃ সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ উপাদান যা হাড় গড়ণের মূলে রয়েছে তাই সজনে পাতা গ্রহণ করা হাড় মজবুত করতে অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এবং পরিমিত সজনে পাতা সেবনের ফলে সজনে পাতাতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠন ঠিক করতে এবং দাঁত ও দাঁতের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে।
চোখের জ্যোতি বাড়াতেঃ সজনে পাতা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমূহের মধ্যে একটি। সজনে পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হার্ট ভালো রাখেঃ সজনে পাতার পুষ্টিগণ ও খনিজ উপাদান আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি দূর করে দেয়। শরীরে অতিরিক্ত চর্বির পরিমাণ কমে যাওয়ায় হৃদরোগজনিত সমস্যার প্রকোপ দেখা দেয় না। তাই সজনে পাতা সেবনের ফলে হৃদরোগের মত সমস্যার সম্ভাবনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করেঃ সজনে পাতা সেবনের ফলে গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়। বাচ্চা প্রসবের পর বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য উপকারী ও উপাদানের নাম হলো সজনে পাতা। নিয়মিত অল্প পরিমাণে সজনে পাতা সেবন করলে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সজনে পাতা অত্যন্ত ভূমিকা রাখে কারণ সজনে পাতাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান।
সজনে পাতার অপকারিতা
সব জিনিসেরই একটা পরিমাপ রয়েছে। তেমনি সজনে পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে আবার অপকারিতা ও রয়েছে। যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সঠিক নিয়মে খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। সজনে পাতার অপকারিতা কেমন আকারে বিস্তৃত নেই। কিন্তু সজনে পাতাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি থাকায় এই অতিরিক্ত পরিমাণের ক্যালরি আমাদের হজম শক্তিতে বাধার কারণ হতে পারে।
সাথেই সজনে পাতার মধ্যে অনেক সময় ছোট পোকা দেখতে পাওয়া যায় যা আমাদের পেটে গেলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত কোন জিনিস খাওয়াই শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে। তাই সকল বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
সজনে পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতার উপকারিতা বহু রকমের। সজনে পাতার পুষ্টিরগুণ অন্যান্য শাক- সবজির তুলনায় বেশি। সজনে পাতার এই পুষ্টিগুণের কারণে একে অনেক গুলো ভিটামিনের সংযোগস্থল বলা হয়। যদিও সজনের নাম আসলে সকলে সজবে ডাটার দিকেই অগ্রসর হই তবুও জেনে রাখা ভালো সজনে পাতার পুষ্টিগুণ সজনে ডাটার তুলনাতে বেশি।
তাই পাতার পুষ্টিগুণ বিবেচনায় সজনে পাতা গুঁড়ার চাহিদা সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ভর খাদ্য বাছাই করতে চাইলে সজনে পাতার গুঁড়া অন্যতম উপাদান। সজনে পাতার গুড়ো বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে সেবন করা যায়। সজনে পাতার গুঁড়ো খাওয়ার প্রচলিত পদ্ধতি হলো চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া।
এই গুড়ো যখন চায়ের সাথে মিশে পানিয় হয়ে দেহে প্রবেশ করে তখন এই পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া সজনে পাতার গুড়া, খাঁটি মধু ও লেবুর একত্রে পানিতে মিশিয়ে শরবতের ন্যায় সেবন করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সজনে পাতার রসের উপাদান। সজনে পাতা গুড়া সঙ্গে খাঁটি মধু ও লেবুর পানি মিশিয়ে খেলে ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা কাশি রেহাই পাওয়া যাবে।
সজনে পাতার রসের উপকারিতা
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার আলোচনায় সজনের রসের উপকারিতাও অন্তর্ভুক্ত। সজনে পাতার রস নিয়মিত সেবন করলে খুবই সহজে শরীরের মেদ ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে। মাত্র ৭ দিনেই এর ফলাফল আপনি বুঝতে পারবেন। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা
একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একজন হবু মায়ের সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া নিশ্চিত করতে তার স্বাস্থ্যকর খাবার গুলি খাওয়া আবশ্যক। তাই গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা অনেক। সজনে পাতায় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ।
সজনে পাতায় রয়েছে ফোলেট যা শিশুর নিউরাল টিউব গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যা শিশুর ব্রেন এবং মেরুদন্ড গঠন করে। গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ আয়রন গর্ভবতী মহিলাদের রক্তশূন্যতা দূর করে আর ফলেট গর্ভ অবস্থা শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। গর্ভাবস্থায় অভিজ্ঞ জন সজনে ডাটা এবং সজনে পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কারণ সজনেতে থাকা খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের সহায়তা করে। তাছাড়া প্রসবের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বিভিন্ন রকম জটিলতা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সজনে পাতা একটু উপকারী উপাদান। সজনেতে থাকা ভিটামিন ও রস জাতীয় উপাদান গর্ভাবস্থায় দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় উপাদান সরবরাহে উপকারী। সজনে পাতা মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়মের সাথে সকলেই অবগত নয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা যখন সজনে পাতা খেয়ে থাকি তখন তা রান্নার মাধ্যমে অর্থাৎ ভাজি কিংবা অন্য মাধ্যমে সেবন করে থাকি যার ফলে সজনে পাতা সে তো হওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলতে শুরু করে।
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ বজায় রেখে খাওয়ার অন্যতম নিয়ম হলো এটি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া। অর্থাৎ সজনে পাতার ভর্তা কিংবা শরবত বা স্মুদি বানিয়ে সেবন করলে এতে থাকা সকল গুণাবলী অক্ষত থাকবে। এছাড়াও সজনে পাতাকে গুঁড়ো করে বিভিন্ন উপায় সেবন করা যায়।
লেখক এর মন্তব্য
সজনে ডাটাতে যেমন উপকার রয়েছে, সজনে পাতাতে তার থেকে বেশি উপকারিতা রয়েছে। একটি প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। আশা করি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি। উপরোক্ত আলোচনায় যদি কোন তথ্য ভুল মনে হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার সুন্দর মতামত এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে অবগত করে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিবেন।
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url