মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরো থাকছে মানসিক রোগ কি বংশগত এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
মানসিক-রোগ-থেকে-মুক্তির-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-তথ্য-জানুন
অনেকেই আছেন যারা মানসিক রোগ সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন। যার কারণে তারা বুঝতে পারেন না যে একজন ব্যক্তির জন্য মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়গুলো কি কি হতে পারে। তাই আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে মানসিক রোগী এবং রোগ সম্পর্কে সবকিছুর বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।

ভূমিকা

আমরা জানি মানুষ হচ্ছে সমাজবদ্ধ জীব বা সামাজিক জীব। সমাজকে নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। আর এই বেঁচে থাকার মাঝে আমাদের নানারকম পরিস্থিত, পরিবেশ এবং ভিন্ন ভিন্ন মন মানসিকতার মানুষের সাথে মিশতে হয়। এর ফলাফল স্বরূপ কিছু কিছু মানুষের মানসিক সমস্যার মত কিছু রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কিভাবে বুঝব একজন ব্যক্তি মানসিক রোগে ভুগছেন? কি করলে তা ভালো হবে? মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং আসলেই মানসিক রোগ কি ভালো হয়? এমন অনেক প্রশ্নই আমাদের মনে এসে থাকে। আজ এ সকলের সমাধান নিয়েই আমাদের আলোচনা।

মানসিক রোগ কি

মানসিক রোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গেলে এর ব্যাখ্যা বিভিন্ন রকম ভাবে পাওয়া যাবে। মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে মানসিক রোগ কি? তবুও যদি পূর্বের কথা বলি তাহলে বলা যায় তখনকার সময়ে, যে সকল ব্যক্তি ঘর-বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাদেরকে মানসিক রোগী বলা হত।

বা যাদের নিজের ভালো মন্দ বিচার করার মত সাধারণ জ্ঞানও নেই তারাই মানসিক রোগী। তবে বর্তমানে মানসিক রোগ বলতে কোন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বা অসুস্থতা বা কোন প্রকার সমস্যাকে বোঝানো হয়। যার ফলে একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং ব্যক্তির মনের উপর বিষাদ প্রভাব প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই মানসিক রোগের ফলাফল সমূহ বা লক্ষণ সমূহ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখা যেতে পারে। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি অনেক গম্ভীর রূপ ধারণ করতে পারে আবার কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সবকিছুই খুব সাধারণ বা সহজ মনে হতে পারে। সাথেই মানসিক রোগের ক্ষেত্রে অনেক মানুষের একটি প্রশ্ন থাকে তা হচ্ছে, মানসিক রোগ কি বংশগত ?

মানসিক রোগ কত প্রকার

মানসিক রোগ হলো ব্যক্তির এমন এক অসুখ যা একজন ব্যক্তিকে তার মৃত্যু দিনের কাজকর্ম ও রুটিনে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। মানসিক রোগের কারণে একজন ব্যক্তির জীবন অনুভূতিগত, আচরণগতভাবে এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সাধারণ ভাবে সকলেরই অবশ্যই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সমূহ  এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক।

মস্তিষ্কের বিকারে মানুষের দ্বারা গঠিত অস্বাভাবিক ও অদ্ভুত আচরণের কারণ হিসেবে মানসিক রোগ বা মানসিক রোগের ছোট্ট একটি অংশকে দায়ী ধরা হয়। মানসিক রোগ কত প্রকার তা অনেকেরই অজানা। মানসিক রোগের প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাজন বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়।

লক্ষণ দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে সর্বপ্রথম এমিল ক্রেপেলিন মানসিক রোগের দুটি প্রকারভেদ উদঘাটন করেছিলেন যা যথাক্রমে সাইকোসিস ও নিউরোসিস। তবে আন্তর্জাতিকভাবে রোগীর লক্ষণ ও দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে মানসিক রোগকে ডিএসএম এর চতুর্দশ সংস্করণ অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। নিম্নে এর শ্রেণীবিভাগ গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • জৈগিক কারণে ঘটা এক ধরনের মানসিক রোগ।
  • মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে ঘটা ব্যবহারিক রোগ কিংবা মানসিক রোগ।
  • আবেগ বা মেজাজ সম্বন্ধীয় মানসিক রোগ।
  • ডিলিউসনাল মানসিক রোগ। যেমন - স্কিজ্রোফ্রেনিয়া, স্কিজোটিপাল ইত্যাদি।
  • মানসিক চাপ জনিত মানসিক রোগ বাস শরীরে কিছু লক্ষণের জন্য ঘটা মানসিক রোগ বা নিউরোটিক ব্যাধি।
  • ব্যবহার বা আচরণ সম্বন্ধীয় মানসিক রোগ
  • দৈহিক ক্রিয়াতে প্রভাবকারী মানুষিক রোগ।
  • ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধীয় মানসিক রোগ।
  • মানসিক বিকাশ জনিত মানসিক রোগ।
  • মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধীয় মানসিক রোগ।
  • অনির্দিষ্ট  কারণ জনিত মানসিক রোগ।
  • শিশু বা কৈশোরের আবেগ জনিত মানসিক রোগ যা ব্যবহারিক বা আবেগ সম্বন্ধীয় কারণের সাথে লিপ্ত ডাইমেনশিয়া বা আলজাইমার রোগ ইত্যাদি।
এছাড়াও স্বাভাবিক বিভাজনে মানসিক অসুস্থতাকে সাতটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

মুড ডিজঅর্ডারঃ মুড ডিজঅর্ডার বাম মেজাজ সংক্রান্ত মানসিক রোগ একটি দীর্ঘদিন ব্যাপী চলমান সমস্যা। মুড ডিসঅর্ডার একজন মানুষের জীবনে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং অত্যন্ত মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাইপোলার ডিজঅর্ডার, অবসাদ ইত্যাদি মেজাজ সংক্রান্ত মানসিক সমস্যার অন্তর্ভুক্ত রোগ।

অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারঃ অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বা উদ্বেগজনিত মানসিক সমস্যায় কোন কারণ ছাড়াই ব্যক্তির উত্তেজনা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের ফলে একজন স্বাভাবিক মানুষের জীবনে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা এবং অযৌক্তিক আশঙ্কা কাজ করে যা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে উল্টে পাল্টে রেখে দেয়।

পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারঃ একজন ব্যক্তির পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার বা ব্যক্তিত্বের বিকাশ এমন এক মানসিক রোগ যা ব্যক্তির চিন্তা অনুভূতি আচরণ এবং জন্মগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহ মানুষেরও অভিজ্ঞতা ও পরিবেশ চিন্তা সকল কিছুকে অস্বাস্থ্যকর চিন্তাভাবনার দরুন প্রভাবিত করতে থাকে।

স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব ধারণকারী ব্যক্তির মধ্যে যখন অস্বাস্থ্যকর ও অস্বাভাবিক চিন্তাভাবনা এবং ভাব আবেগ দেখা যায় তখন তা ওই ব্যক্তির প্রাত্যহিক জীবন এবং কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটায় যা ব্যক্তির মেনে নেয়া কষ্টসাধ্য এবং তখনই এই ব্যক্তিত্বের বিচার বা পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার দেখা যায়।

ইটিং ডিজঅর্ডারঃ কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস তার শারীরিক বা মানসিক ভাব আবেগের উপর ভারী হতে পারে। ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্য বিকার এর মধ্যে বীঞ্চ ইটিং ডিজঅর্ডার, বুলিমিয়া নার্ভোসা এবং অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা অন্যতম।

ট্রমা টাইপ ডিজঅর্ডারঃ কোন ঘটনার কারণে ঘটে যাওয়া তীব্র প্রতিক্রিয়া একজন ব্যক্তির জন্য মানসিক আঘাতের কারণ হতে পারে। পিটিএসডি বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার এর একটি উদাহরণ।

কোন কিছুর জন্য তীব্র অস্থিরতা ঘটার অবস্থা এবং তা ব্যক্তির নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তখন তাকে আসক্তি জনিত মানসিক রোগের মধ্যে গণ্য করা হয়।

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানব জীবনে সুখ দুঃখ হাসি কান্না সবকিছু মিলিয়ে জীবন আর এই সব কিছুকে পার করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কিছু মানুষ একটু দুঃখতে বা অনেক দুঃখতে নিজেকে হারিয়ে ফেলে বা বিষন্নতায় ভোগে। এই বিষন্নতার আরেক নাম মানসিক রোগ। নিম্নে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • সর্বপ্রথম মনকে শান্ত করার জন্য ধর্মীয় কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে নিজেকে মনোযোগী করে তুলতে হবে।
  • অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে।
  • বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে একটু বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • এমন সময় একা একা থাকাটা একেবারে এড়িয়ে যাওয়াটাই সবচাইতে বেশি ভালো হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • এমন অবস্থায় ঘুম অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে ব্যক্তির জন্য। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।
  • এরকম সময়ে মানুষ বিশেষ করে খারাপ পথে পথভ্রষ্ট হয়। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য বা মাদক ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করতে না পারে। অর্থাৎ এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
  • ইয়োগা শরীর এবং মন দুটোকেই ভালো রাখতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে ইয়োগা করতে হবে।
  • অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অযথা ভাবা যাবে না শুধুমাত্র ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হবে।
  • মানব জীবনে কখনো কখনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে থাকে যা থেকে আমাদের দূরে না সরে তার মোকাবেলা করা উচিত। সব সময় পরিস্থিতি ব্যক্তির অনুকূলে থাকে না তাই সব ভাবেই নিজেকে তৈরি করে রাখা উচিত।
  • দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে সব সময় নিজেকে কর্মে ব্যস্ত রাখতে হবে যেন কোন প্রকারের খামখেয়ালি কথাবার্তা মস্তিষ্কে না আসতে পারে।
  • নিজের চোখে নিজেকে সব সময় প্রাধান্যতা দিতে হবে।
  • অন্যেরা কি ভাবছে না ভেবে নিজেকে নিয়ে বেশি করে ভাবতে হবে।হহ

মানসিক রোগের লক্ষণ

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানার আগে জেনে নেই এই রোগের কিছু লক্ষণ যা থেকে আমরা বুঝতে পারব একজন ব্যাক্তি মানসিক ভাবে অসুস্থ কি না। নিচে মানসিক রোগের লক্ষণ সমূহ উল্লেখ করা হল।
  • সব সময় একা একা থাকা, একা একা চলাফেরা করা বা কারো সাথে মেলামেশা না করা।
  • ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র কথাতে সবার সাথে ঝগড়া করে বেড়ানো বা কথা কাটাকাটি করা।
  • কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যাওয়া।
  • সবার প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব রাখা।
  • নিজের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের প্রতি অনীহা।
  • ঘুমানোর পরিমাণ হ্রাস অথবা বৃদ্ধি পাওয়া।
  • পছন্দের অভ্যাসগুলো হঠাৎ করে ভালো না লাগা।
  • অন্যান্য ব্যক্তিগণ সব সময় তাকে নিয়েই সমালোচনা করছে এমন মনোভাব তৈরি হওয়া।
  • অকারণে সবাইকে নিয়ে সন্দেহ প্রবণ হওয়া।
  • অস্বাভাবিকভাবে পর পরিষ্কার থাকার চেষ্টা বা অতিরিক্ত মাত্রায় শুচিবায় গ্রস্ত হয়ে যাওয়া।
  • নিজের জীবনের প্রতি উদাসীনতা মনোভাব।
  • নিজের শরীরের প্রতি যত্ন না নেওয়া।
  • প্রতিদিনের নিত্যকর্ম যেমন দাঁত ব্রাশ করা গোসল করা মুখ ধোয়া এ সকল কর্ম করতে না চাওয়া।
১৫ থেকে ১৬ দিনের বেশি সময় ধরে এ সকল লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ভালো মন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ব্যক্তিকে যথেষ্ট পরিমাণে আদর স্নেহ এবং ভালোবাসা দিতে হবে।

মানসিক রোগ কি ভালো হয়

বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মানসিক চিকিৎসার জন্য অনেকগুলো চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে অনেক ভাল এবং বিশেষজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্ট আছেন। এসব মেডিকেলে বা চিকিৎসালয়ে মানসিক রোগীদের খুব ভাল চিকিৎসা দেয়া হয়।

এসকল রোগীদের ভাল এবং উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদান করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক রোগী সম্পূর্ণ রুপে সুস্থ হয়। তাই এই রোগীদেরকে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক রোগীদের জন্য কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আর যদিও বা কেউ চিকিৎসা করে তবে তার মধ্যেকার তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক পরামর্শ অনুসারে চলে না।

যার কারনে সুস্থতা আশা করা যায় না। মানসিক রোগের শুরুতেই যদি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যায় এবং তার পরামর্শ সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মানসিক রোগ কি বংশগত ?

এমন অনেক অসুখ আছে যা উত্তরাধিকার সূত্রে মানষ নিজের শরীরে বহন করে থাকে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অসুখের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের অসুখ। পরিবারে যদি কারো মানসিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এটাও উত্তরাধিকার সূত্রে মানুষ নিজের শরীরে বহন করে।

অর্থাৎ পিতা-মাতার মধ্যে কারো যদি মানসিক রোগ থেকে থাকে তাহলে এই রোগটি সন্তানের বা পরবর্তী প্রজন্মের কারো থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এবং এই রোগটি শুধুমাত্র সন্তান বা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা।

এটি পরিবারের যেকোনো সদস্যের কাছে ঘুরেফিরে যেতে পারে। বা বলা যায় একটি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কাছেই এই রোগ যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। যার কারনে পরিবারে যদি কোন মানসিক রোগী থাকে তখন এটি সবার জন্য একটি বিশাল বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে এটি একটি জিনগত রোগ। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের কোন সদস্য মানসিক রোগী হওয়া সত্বেও তার পরিবারের অন্য কারো কোন প্রকারের কোন সমস্যা হতে দেখা যায়নি। তাই যাদের মনে এই প্রশ্ন আসে যে, মানসিক রোগ কি বংশগত ? সেক্ষেত্রে বলা বাহুল্য যে, মানসিক রোগ একটি বংশগত রোগ বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ব্যাধি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার এর মাধ্যমে অন্য সবাইকে মানসিক রূপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url