কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তার বিস্তারিত জানুন
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকের আমাদের এই আলোচনা। সাথেই এই আলোচনায় আরো থাকছে রাতে ঘুম না হলে করনীয় এই বিষয়ে কিছু উপদেশ কিংবা সমস্যা সমাধান এর উপায়। তাই আজকের এই পোস্টটির সঙ্গে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ঘুম না আসার বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন।
ঘুম আমাদের নিত্যদিনের কার্যক্রমের এক আবশ্যক প্রক্রিয়া হওয়া সত্বেও এ বিষয়ে প্রচুর অসচেতনতা এবং অবহেলা নিয়ে সকলে জীবন যাপন করে আসছি। ঘুম না হলে কিছু করনীয় রয়েছে যা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত। তবে তার জন্য এর কারণগুলি সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরী। একইভাবে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এ সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত।
ভুমিকা
সুন্দর ও গোছালো জীবনের জন্য ঘুম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্রিয়া-কলাপকে আরো প্রগতিশীল করে তোলে। সুনিয়ন্ত্রিত জীবন পরিচালনা করতে পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। তাই আজকে আমরা জানবো ঘুমের গুরুত্ব, ঘুম না আসার কারণ, রাতে ঘুম না হলে করনীয়, রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম, ঘুম কত ঘন্টা দরকার, রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়, কি খেলে ঘুম কম হয়, এবং কি খেলে রাতে ঘুম আসে তার বিস্তারিত সম্পর্কে।
ঘুমের গুরুত্ব
সুস্থ ও সহজ জীবন যাপনের জন্য ঘুমের গুরুত্বকে বুঝতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে কার্যক্রমে বাধা না চাইলে অবশ্যই শরীর ও মনকে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই ঘুমের অবস্থা অনিয়মিত যার ফলে তাদের মনোযোগ এবং শারীরবৃত্তীয় কাজের দিকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ব্যস্ত নগরে আধুনিক জনগণের জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তাদের ব্যস্ততা এবং কর্মজীবনের প্রয়োজনীয়তার উর্ধ্বে আসে না।
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই এই অবহেলা দূর করা উচিত। কেননা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঘুমের অনিয়মিত অভ্যাসের কারণে নানা রকম নিদ্রা জনিত সমস্যা কিংবা জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা ব্যক্তি পরবর্তী জীবনকে অনেক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাধাগ্রস্থ করে। তাই ব্যস্ত নগরীর জনগণকে সচেতন এবং অবগত করার উদ্দেশ্যে ২০০৮ থেকে মার্চ মাসের ১৫ তারিখে 'বিশ্ব নিদ্রা দিবস' পালিত হয়।
কেবল আমাদের দেশে কিংবা প্রতিবিশী এলাকাতেই নয়, সারা বিশ্বে এই নিদ্রা জনিত জটিলতা চলছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্যক্তির জীবন অনিয়মিত এবং অগোছালো হয়ে যায় যার ফলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ব্যক্তি মানসিক চাপ কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ঘটে সাথেই, রক্তচাপের সমস্যা দূর হয় এবং হৃদরোগ জনিত ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি গুলো ধীরে ধীরে কমে যায়।
এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম মেধা বিকাশে সাহায্য করে এবং চিন্তা শক্তিকে ব্যাপকভাবে বিস্তার রাগ করতে সাহায্য করে। অনিয়মিত ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তাই প্রশান্তিমার ঘুমের ফলে সুস্থ মানসিক অবস্থা অর্জন করা সম্ভব এবং এই সুস্থতার ফলে মানুষের জীবনে কর্ম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায় এবং অবশ্যই সুস্থ মানসিকতা জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
ঘুম না আসার কারণ
ঘুম না আসার সমস্যাটি বর্তমানে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এমন এক বৈশ্বিক সমস্যার রূপ নিয়েছে যা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে এই সমস্যার ভুক্তভোগী বানিয়েছে। কারণ হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় বা অন্যান্য শারীরিক বা মানসিক সমস্যার কারণে ঘুমের কমতি দেখা দেয়। প্রাত্যহিক জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন যার জন্য ঘুম না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে।
ঘুম না আসার মুখ্য কারণ গুলোর মধ্যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক অবসাদ জনিত কারণ,ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা এবং পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাব অন্যতম। এছাড়া এই অনিয়মিত ঘুমের জন্য তিনটি মারাত্মক রোগও দায়ী হতে পারে। তা হলো - ইনসম্নিয়া, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম এবং নার্কোলেপ্সি।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা। এই ইনসানিয়া বা অনিদ্রা আমাদের পূর্ণাঙ্গ ঘুমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনিদ্রা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই হানিকারক। রাতে যে রোগের কারণে ঘুম আসে না তার নাম ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা। ইনসমনিয়ার আরও লক্ষণে রাতে ঘুম না আসার সাথেই বারে বারে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার লক্ষণ অন্তর্ভুক্ত। অনিদ্রার রোগে রাতে ঘুম হয় না এবং দিনে ঝিমানোর ভাব ধরে থাকে।
ফলে কর্মজীবনে মনোযোগী হওয়া যায় না এবং দিনে ঝিমঝিম ভাব থাকার ফলে দিনের বেলা ঘুমানোর প্রবণতা বেড়ে যায় যার ফলে প্রাত্যহিক ক্রিয়াকলাপের সুচি বাঁধাগ্রস্থ হয়। এছাড়াও অনিদ্রার কারণে মেধা ধীরগতির হয়ে যায় এবং বিষন্নতা এবং খিটখিটে মেজাজ প্রতিফলিত হয়। বর্তমান প্রজন্মের এক বড় অংশ ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে। তাই প্রাথমিকভাবে রাতে ঘুম না হলে করনীয় হিসেবে দৈনন্দিন কর্মসূচি পরিবর্তন আনতে হবে যেন শুরুর দিকেই অনিদ্রার মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
মেলাটোনিন হরমোন দেহের ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত ভিটামিন-ডি দেহের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে যার ফলে এই মেলাটোনিন হরমোনের ঘাটতি হলে অনিদ্রা বা ঘুম না আসার মত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ভালো ঘুম আসার জন্য ভিটামিন-ডি এর সাথে ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন-সি এর গুরুত্ব অপরিহার্য।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদানও জরুরি। ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত কারণে হ অনিদ্রায় শরীরে অবসাদও ক্লান্তি বিরাজ করে এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দিনে অল্পতেই মানুষের শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভর করে। তাই কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা জেনে নিয়ে অবশ্যই শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘুম কত ঘন্টা দরকার
মানবদেহে ঘুমের প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করা হয় বয়স এর উপর ভিত্তি করে। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবীণ সকলের বয়স অনুযায়ী ঘুমের জন্য নির্ধারিত সময় ভিন্ন ভিন্ন। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন আরো যুক্ত করেছে যে জীবন ধারার ভিন্নতার হিসেবেও ব্যক্তির ঘুমের সময় চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এ বিষয়ে আরো বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যায় তা নিম্নরুপ।
- নবজাতক শিশুদের দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ১৪-১৭ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমমের প্রয়োজন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এই সময় ১১ কিংবা ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত পর্যাপ্ত ঘুমের হার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
- নবজাত-কাল পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ চার মাস থেকে এক বছরের আগ পর্যন্ত শিশুদের দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ থেকে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে।
- পরবর্তী দুই বছর বয়স পর্যন্ত এই সময়কাল ১১-১৪ ঘন্টা পর্যন্ত নেমে আসে।
- ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ ঘন্টার ঘুম পর্যাপ্ত ঘুম হিসেবে গ্রহিত হয়।
- ৬ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ বাল্যকালে পর্যাপ্ত ঘুমের সময় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত।
- ১৪ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ কিসের কালে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার ঘুম তাদের জন্য যথেষ্ট।
- ১৮ বছর থেকে অর্থাৎ পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ হিসেবে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমের চাহিদা থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ৭ ঘন্টার ঘুম এই বয়সে যথেষ্ট।
- প্রবীণ বয়সে অর্থাৎ ৬০ ঊর্ধ্বে ৭/৮ ঘন্টার ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণের হয়। এই সংখ্যা গড়িয়ে ৯ ঘন্টায় যেতে পারে।
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আমাদের শারীরিক অবস্থায় বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দেয় যার বেশিরভাগই নেতিবাচক পরিবর্তন অর্থাৎ শরীরে বিভিন্ন রকম ক্ষতি হয়। দীর্ঘদিন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে যা যা সমস্যা হয় তার সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
- অনিয়মিতভাবে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
- ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়া
- অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ।
- রক্তে শর্করার অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা
- মেজাজ খিটখিটে থাকা
- অবসাদ ও ক্লান্তি ধরে নেয়া
- মস্তিষ্ক ধীরগতিতে কাজ করা ও চিন্তাশক্তিতে বাধা প্রাপ্ত হওয়া
- প্রাত্যহিক ক্রিয়া কর্মসূচি বাধাগস্ত হওয়া ইত্যাদি।
কি খেলে ঘুম কম হয়
ঘুমের জন্য যেভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ক্রিয়াকলাপের উপর প্রভাব পরে ঠিক একইভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে। রাতে প্রশান্তির ঘুম সবাই চায় তবে প্রায়শই আমরা অস্বাস্থ্যকর ও মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি যার ফলে আমাদের ঘুম ভালো হয় না। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন সব খাবারের ফলে ঘুম কম হয়।
জাঙ্ক ফুডঃ বিভিন্ন রকম প্যাকেটজাত নাস্তা কিংবা ভাজাপোড়া খাবার, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি মুখরোচক খাবার বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া অস্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং ঘুম নষ্ট করার জন্য অন্যতম বদ অভ্যাস। আইসক্রিম ও চকলেটে থাকা সুগার এবং ফ্যাট ঘুমকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ডার্ক চকলেটের থিওব্রোমিন মানবদেহের হৃদপন্দন বৃদ্ধি করে দেয় যার ফলস্বরূপ ঘুম বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়া বাকি জাঙ্কফুড যেমন ভাজা খাবার গুলোতেও পরিমাণে বেশি ফ্যাট থাকায় ঘুম ব্যাহত হয় এবং অস্বস্তি দেখা যায়।
হোয়াইট ব্রেডঃ হোয়াইট ব্রেডে থাকা গ্লাইসেমিক রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে ঘুম ব্যাহত হয়।
অতিরিক্ত মসলাঃ মসলাযুক্ত খাবার আমাদের ঘুমের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত মসলা গ্রহণের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে গ্যাস ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মত সমস্যা দেখা দেয় যা অস্বস্তি নিয়ে আসে। ফলে এসিডিটি ও অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়া টমেটো, বেগুন, ব্রকলি, শসা এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খেলে ঘুম কম হয়।
কি খেলে রাতে ঘুম আসে
রাতে ঘুম না আসা এক বিরাট সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য অবশ্যই অনেকগুলো বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ঘুম তাড়িয়ে দেয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কি খেলে ঘুম ভালো হবে বা কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা জানতে হবে। গবেষকদের মতে এমন কিছু খাবার আছে যা রাতে ঘুম আসার ক্ষেত্রে কার্যকরী। এক গ্লাস গরম দুধ রাতে খেয়ে ঘুমালে এটি ঘুম আনতে সহায়ক।
আমরা জানি মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুম কম হয় আর ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। তাই ডিম খেলে এটি মস্তিষ্ককে ঘুমের বার্তা প্রেরণ করতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম ঘুমের জন্য সহায়ক। এছাড়া মধু, কলা, লেটুসপাতা, আখরোট, বাদাম, কাঠবাদাম, সবজির স্যুপ, আপেল, কিশমিশ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেলে ঘুম ভালো হয়।
রাতে ঘুম না হলে করনীয়
অনিদ্রার মত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জীবনধারার নিয়ম পরিবর্তন করার সাথে রাতে ঘুমানোর আগে কিছু করণীয় মেনে চলতে হবে। সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ঘুম না আসার কারণ গুলো যাচাই করতে হবে এবং তা পরিহার করতে হবে।
- ঘুমের আগে নিকোটিন বা ক্যাফেইন জাতীয় কিছু সেবন করার অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে।
- খোলামেলা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলুন। তুলনামূলক ঠান্ডা স্থান নির্বাচন করে শ্বাসরুদ্ধকর ও গরম পরিবেশ এড়িয়ে শোবার জায়গা নির্বাচন করুন।
- শরীরের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখে এমন পানি দিয়ে ঘুমানোর আগে স্নান করে নিন। এতে করে আপনার শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকবে এবং ঘুম আসতে সহায়তা হবে।
- দিনের বেলা ন্যূনতম ১৫ মিনিটের জন্য হলেও শরীর চর্চা করুন। ভালো ঘুমের জন্য শরীর ও মনকে সক্রিয় রাখা জরুরী যার জন্য শরীরচর্চা একটু অন্যতম উপায়।
- মস্তিষ্ককে দিন ও রাতের মধ্যে তুলনা করতে দিতে হবে এর জন্য দিনে ৩০ মিনিটের মত সূর্যের আলোতে থাকা যেতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা ঘুম সম্পর্কিত নানান তথ্য যেমন, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবং অনিদ্রা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন মতামত জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার আশেপাশের মানুষকে ঘুম অথবা অনিদ্রা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url