কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম এর বিষয়বস্তু নিয়ে থাকছে আজকের আমাদের আলোচনা ভিত্তিক এই পোস্টটি। কেবল কালোজিরার উপকারিতা নয় বরং এই পোস্টের সাথে আরো থাকছে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস অনুযায়ী কিভাবে বর্ণিত তার ব্যাখ্যা। আজকের আমাদের এই পোস্টটি সাথে থাকুন এবং মনোযোগ সহকারে পড়ে কালোজিরা সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিন।
কালোজিরার ব্যাপারে কম বেশি আমরা সকলে শুনে এসেছি। কালোজিরার গুনাগুন, ইসলাম ধর্মে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস এবং মসলা হিসেবে কালোজিরার ব্যবহার বাঙালির জীবনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখে। তবে অনেকেই এখনো কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সেটাই আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
ভূমিকা
কালোজিরা বাঙালির জীবনে আয়ুর্বেদী ছাড়াও পাঁচফোড়ন কিংবা মসলা হিসেবে ব্যবহার এক প্রচলিত উপাদান। কিছু ঘরোয়া ও প্রচলিত রকমের চিকিৎসা যেমন আয়ুর্বেদিক কিংবা কবিরাজি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কালোজিরার ব্যবহার বেশ ভালোই দেখা যায়। তবে কালোজিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মসলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ইসলাম ধর্মে কালোজিরার ব্যবহার এর কথা বলা হয়েছে।
কারণ এটি মৃত্যু যন্ত্রণা ছাড়া প্রায় সকল রোগ ব্যাধি থেকে মানব দেহকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, এক সুপার ফুড হিসেবে কালোজিরা কে গণ্য করা যেতে পারে কারণ মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টিই কালোজিরার মধ্যে বিদ্যমান। কালোজিরাতে থাকা ফসফেট, আয়রন এবং ফসফরাস যা বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়
যেকোনো বেলাতে কালোজিরা খাওয়ার পূর্বে কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া হজমের উন্নতি করতে সাহায্য করে।এছাড়া খালি পেটে কালোজিরা খেলে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করতে পারে। কালোজিরাতে থাকা প্রয়োজনীয় ফলিক অ্যাসিড শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
রাতে কালো জিরা খেলে কি হয়
প্রাচীনকাল থেকে মানব জীবনে কালোজিরার ব্যবহার ব্যাপকভাবে চলেই আসছে। কালোজিরা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চা চামচ পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খেলে তা আমাদের শরীরে আশ্চর্যজনক উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি যে কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে দেহকে প্রস্তুত করে এবং সার্বিক ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
পেট খারাপের সমস্যা হলে কালোজিরা অল্প ভেজে তা মসৃণমতো গুঁড়ো করে দুধের সাথে মিশ্রণ করে খেলে উত্তম ফলাফল লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া হালকা গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে সিদ্ধ করে তা দাঁতের গোড়ায় ব্যবহার করলে দাঁত ব্যথা কমে যায়। নিয়মিত রাতে যদি কালোজিরা খাওয়া যায় তাহলে অল্প বয়সে চুল পাকা সমস্যা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
কালোজিরা খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া ভালো না। তাই কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে রাখা দরকার। তাই প্রতিদিন রাতে এক চা চামচ বা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা ও সকালে এক চা চামচ বা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা খালি পেটে খেয়ে পানি পান করলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি দৃশ্যমান হবে। আমাদের নিত্যদিনের কিছু অভ্যাসের সঙ্গে কালোজিরা যুক্ত করলে তা অনেকাংশে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা মানবদেহে হওয়া ছোট বড় নানারকম সহজ কিংবা জটিল সমস্যা বা রোগব্যাধির উপশম হিসেবে কাজ করে। এর উপকারিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত রয়েছে। সঠিক নিয়মে এবং নিয়মিত কালোজিরা খেলে এর নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে কালোজিরার উপকারিতাঃ নিয়মিত কালোজিরা খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল এর হার বেড়ে যায়। যার কারনে মানবের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি ভাব দূর করে। তাই ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করা উচিত। কমপক্ষে দুই বছর পর থেকে বাচ্চাদের কালোজিরা খাওয়ালে কোন সমস্যা হবে না। কালোজিরা গুনাগুন এত বেশি যে সন্তান ছোট থেকে তার শারীরিক ও মানসিক গঠনে উপকৃত হবে এবং শরীরে বাহ্যিক বিভিন্ন উপকার পাবে ইনশাল্লাহ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রিয় রাসূল (সা.) তার ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করতেন।
বুকের দুধঃ মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি গুড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে তা খেতে থাকুন। দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে মায়ের বুকের দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এর জন্য আপনি সমাধান হিসেবে কালোজিরার ভর্তা বানিয়ে বাঙালি খাবারের ন্যায় ভাতের সাথে কালোজিরার ভর্তা মিশিয়ে খেতে পারেন। বলতে পারেন বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা এক মহা ঔষধ।
জ্বর, সর্দি-কাশি নিরাময়ে কালোজিরাঃ জ্বর, সর্দি-কাশি, ব্যথার মতো সমস্যায় চা চামচ পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে তা তিন চা চামচ পরিমাণ মধু ও দুই চা চামচ পরিমাণতুলসি পাতার রস মিশিয়ে এই মিশ্রণ সেবন করলে দারুন উপকার পাওয়া যাবে। সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কালোজিরার গুনাগুন অপরিসীম ভুমিকা রাখে।
যৌন সমস্যা উপশমে কালোজিরাঃ কালোজিরা যৌন ব্যাধি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী ঔষধ। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। তবে খুব বেশি সেবন করার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই বিষয়টি খেয়াল রেখে সেবন করবেন আশা করি ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরাঃ কালোজিরা খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন।
ওজন কমাতে কালোজিরার উপকারিতাঃ কালোজিরা ওজন কমাতে অনেকেই লেবুর রস এবং মধু ও গরম জল খেয়ে থাকেন। এর যে কোন একটা সাথে সামান্য পরিমাণ কালোজিরা গুড়া মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আমাশয় নিরাময়ে কালোজিরাঃ আমাশয় নিরাময় এর উদ্দেশ্যে সঠিক নিয়ম মেনে কালোজিরা সেবন করলে এর যথাযথ সমাধান পাবেন কারণ আমাশয় নিরাময়ে কালোজিরার কোন বিকল্প নেই এক চা চামচ কালোজিরা ও এক চা চামচ মধু দিনে দুইবার করে খেতে হবে। এভাবে সকল ধাপ অনুসরণ করে এক মাস নিয়মিত কালোজিরা খেলে ভালো ফলাফল পাবেন।
চুল পড়া বন্ধ করতে কালোজিরার উপকারিতাঃ কালোজিরা খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়। আরো ভালো ফলাফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন। কালোজিরা তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল গজায়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখতে কালোজিরাঃ কালোজিরা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে আরও উজ্জ্বল, মসৃণ, কোমল ও আকর্ষনীয় করে তোলতে সাহায্য করে। কালোজিরা ত্বককে পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে থাকে।
পাইলস এর সমস্যায় কালোজিরার ভূমিকাঃ কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। এটি পাইলস সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। একটা চামচ মাখন, এক চা চামচ তিলের তেল এবং এক চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে এক থেকে দুই মাস। যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরাঃ কালোজিরা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ কালোজিরার মিশ্রণ ঘটিয়ে তা প্রতিদিন দুইবার সেবন করবেন। এর ফলে খুব সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়ে ওঠে।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের জন্য কালোজিরাঃ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের কালোজিরা হচ্ছে একটি অপ্রতিরোধ্য ঔষধ। এর থেকে মুক্তি পাবেন কালোজিরার সেবন করার ফলে। তবে নিয়ম মেনে আপনি যদি কালোজিরা ব্যবহার অথবা সেবন না করেন তাহলে আপনার ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
হজমের সমস্যা দূরীকরণেঃ কালোজিরা মানব দেহের হজমের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ পরিমাণ কালোজিরা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দুইবার এই মিশ্রণ খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে এবং পাশাপাশি পেট ফাঁপা দূর হবে।
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
বিশেষজ্ঞদের দেখানো পন্থা অনুযায়ী অত্র তত্র নামে বেনামে কালোজিরার যেসকল তেল পাওয়া যাচ্ছে তা উপেক্ষা করে চলার পরামর্শ দিয়ে রেখেছেন। তারা বলেছেন, এই তেল খেলে পেটের পিড়া বাড়বে। এছাড়া সরাসরি তেল সেবনে বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস্ট্রিক, আলসার এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সঠিক উপায়ে তৈরি গুণগত মানের কালোজিরার তেল শরীরের জন্য উপকারী। তাই কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো কালোজিরা সেবন করতে হবে।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা দেহের নানা রোগের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি শুধুই একটি মসলা নয় এর কাজ খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসায় কালোজিরার ব্যবহার হয়ে থাকে। কালোজিরাতে ফসফেট, আয়রন এবং ফসফরাস এর মতো উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। তাই এই জিনিসটির প্রশংসা করেছেন রাসূল (সা.)।
আবু হুরাইরা (রা.) এর থেকে জানা গিয়েছে যে, তিনি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, কালোজিরার মধ্যে সকল রোগের উপশম আছে, তবে অবশ্যই মৃত্যু ছাড়া। এই কারণে সাহাবায়ে কেরাম সবসময় সঙ্গে কালোজিরা রাখার পরামর্শ দিতেন। খালিদ ইবনে ছাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনে আবজার। তিনি পথের অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনায় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন।
তাকে দেখাশোনা করতে আসলেন ইবনে আবি আতিক। তিনি বললেন, তোমরা এই কালোজিরার সঙ্গে রাখো। পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিসে ফেলবে, তারপর জয়তুনের কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে তা তার নাকের দুটি ছিদ্রের মধ্যে কয়েক ফোটা ঢেলে দিয়ে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা আয়েশা(রা.) বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সা.)-কে তিনি বলতে শুনেছিলেন যে, 'সাম' ছাড়া কালোজিরা সব রোগের ঔষধ সব রোগের মহৌষধ।
আমি জিজ্ঞাসা করে উঠলাম, 'সাম' অর্থ কি? উত্তরে তিনি জানালেন এর অর্থ মৃত্যু (বুখারী, হাদিস:৫৬৮৭)। পবিত্র হাদিসে যেহেতু রাসূল (সা.) এই জিনিসটা সব রোগের মহৌষধ বলেছেন, তাই এই ধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্কতামূলক আমাদের খাবারের মেনুতে কালোজিরা রাখা যেতে পারে। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস মেনে অনুকরণ করলে অন্তত রাসূল (সা.) এর সুন্নাত আদায় হবে।
কালোজিরা খেলে কি কি ক্ষতি হয়
কালোজিরা খেলে যেমন উপকার হয় আবার কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিও হয়। যাদের কালো জিরা খেলে পেট ফেঁপে যায়, বমি বমি ভাব ও পটি হতে চাই না তাহলে এল জিরা থেকে দূরে থাকতে হবে। কালোজিরা খেলে কিছু মানুষের নানাবিধ শারীরিক সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। ব্যাক্তি বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
ব্লিডিং ডিসঅর্ডার থাকলে কালোজিরা থেকে দূরে থাকা উত্তম পরামর্শ হতে পারে। এছাড়াও যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া থাকে তাদের জন্য কালোজিরা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর সার্জারি হবে যাদের সেই ব্যক্তিদের কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। সার্জারির ক্ষেত্রে কালোজিরা ক্ষতির কারণ হতে পারে, ব্লিডিং বেড়ে যেতে পারে। কালোজিরা যেমন উপকারী তেমনি অতিমাত্রায় খেলে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খেলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পান কালোজিরা মধু খেলে কি হয়
কালোজিরা যৌন সমস্যায় এটি খুবই উপকারী। পান, কালোজিরা ও মধু একসঙ্গে খেলে যৌন সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন। একটি মানবিক এবং শারীরিক প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে বা তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর অনিবার্য অসুখ সৃষ্টি করতে পারে না।
লেখক এর মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে কালোজিরার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিশ্লেষিত ধারণা অর্জন করা যায়। আশা করি উপরোক্তা আলোচনার মাধ্যমে আপনারা কালোজিরার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনি যদি কোন মতামত জানাতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং কালোজিরার আলোচনা ভিত্তিক এই পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার বন্ধু মহল, পরিবার ও পরিজনদের মধ্যে শেয়ার করে কালোজিরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url