পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকের আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। সাথে থাকছে পহেলা বৈশাখের খাবার সম্পর্কে কিছু তথ্য। আজকের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন এবং এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে পহেলা বৈশাখের বিস্তারিত কথা জেনে নিন।
পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন
পহেলা বৈশাখ হলো বাঙালি ও বাংলার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতিক। পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি একে অপরের সঙ্গে বেশ পুরনো সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। চলুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ, আমাদের সংস্কৃতি এবং পহেলা বৈশাখের খাবার ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা

আকবরের আমল থেকে প্রচলিত উৎসব পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনের সাথেও ওতপ্রতভাবে জড়িত। পহেলা বৈশাখ এমন এক উৎসবমুখর আমেজ সৃষ্টি করে যেখানে ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল বয়সী মানুষজন একত্রিত হয়ে আনন্দ উদযাপন করেন এবং বাংলার নতুন বছরকে স্বাগতম জানান। আজকের এই পোষ্টের বিস্তারিত আলোচনায় আমরা জানবো পহেলা বৈশাখের ইতিহাস, পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান, পহেলা বৈশাখের পোশাক এবং বৈশাখী মেলা সম্পর্কে সকল তথ্য।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ মূলত বাংলা বছরের প্রথম দিনকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করার জন্য পালিত এক উৎসব। এপ্রিলের ১৪ তারিখে প্রতিবছর বৈশাখ মাসে প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ হিসেবে উদযাপিত হয়। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বারক হিসেবে বিবেচিত হয় যার উদ্দেশ্য মূলত জীবনের এক নতুন প্রচেষ্টা এবং সকলে মিলে একত্রিত হয়ে আন্তরিকতা বিনিময় করা।

পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি একত্রিত এই দিনে পুরনো সব হিসাব মিটিয়ে নতুন করে জীবন ও হিসাব গুছানোর প্রচলন রয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার একটি নামাজের ও সাংস্কৃতিক পথ যা উৎসব রূপে আমাদের সামনে আসে। সম্রাট আকবরের সময়, মুঘল যুগ থেকে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস এর সূচনা ঘটে। সৌরপঞ্জি অনুযায়ী, অনেক আগে থেকেই বাংলার বারোটি মাস এর কথা জানা হয়ে আসছে।

তবে গ্রেগরি ও পঞ্জিকা অনুযায়ী, সৌর বছরের গণনা বাসার মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হতে জানা গিয়েছে। তাছাড়া ইতিহাস জানান দেয় যে, আকবরের আমল শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতবর্ষে কৃষি পণ্যের কর আদায় করার জন্য হিজরী পঞ্জিকার সাহায্য নেয়া হতো। তবে আরবি বছরের এই হিজরী সালের নিয়মের সঙ্গে ও ফসল ফলনের সময়ের মধ্যে ব্যাপ বিস্তার দেখা দেয় কারণ হিজলী সালের গণনা চাঁদের উপর নির্ভরশীল হয় এবং ফসল ও চাষাবাদের সময় মৌসুমের সাথে নির্ধারিত হয়।

হলে তখন মুঘল যুগে, ফসল কাটার জন্য মৌসুমীর উপর ভিত্তি করে সম্রাট আকবর এক নতুন কর ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটান যা পরবর্তীতে বাংলার বর্ষপঞ্জি সাথে মেল পাওয়া ঘটায়। তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের জন্য সৌর বছর এবং আরবির হিজরী সালের উপর ভিত্তি রেখে বাংলা নতুন সন এবং নিয়ম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

সাধারণত ধারণা করা হয় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসের ১০ বা ১১ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা সন এর গণনা শুরু হয়। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বরের ৫ তারিখ থেকে এই গণনা শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে বিভিন্ন তারকারাজীর নাম থেকে বাংলার মাসগুলোর নাম গ্রহণ করা হয়েছে।

এভাবেই বিশাখা থেকে বৈশাখ মাসের নামটি প্রাপ্ত হয়। মুঘল আমল পর্যন্ত কৃষি ও ফসলের সাথে সংযোগ রেখে বাংলা বছরের এই নিয়ম প্রবর্তন হওয়ার পর বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ রাখার সুবিধার্থে খ্রিস্টীয় সনের ব্যবহার বেড়ে যায় এবং পরবর্তীতে প্রতিবছর ১৪ই এপ্রিল বাংলার বর্ষবরণের দিন হিসেবে গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করে এবং এই দিনই বাংলা নববর্ষের দিন হিসেবে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব

পহেলা বৈশাখের উৎসব বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাঙালি কিংবা ব্যস্ত নগরীর, এই দিনে নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেন। ধর্ম,বর্ণ, জাতি, গোত্র সকল পরিচয়ের উর্ধ্বে এসে বাঙালি জাতি নিজেদের এই নববর্ষের দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে সকলকে আপন করে নেয় এবং জীবনের এক নতুন শুরুর দিকে নিজেকে এবং অপরকে ধাবিত করে।

তাই বৈশাখীর এই দিনকে বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীন উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর এক প্রাণ উৎসব যা বাঙালি জীবনে সার্বজনীন লোকউৎসব হিসেবে পালিত হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাঙালি সংস্কৃতি একে অপরের সঙ্গে গুরুতর সংযোগ স্থাপন করে চলছে। কারণ পহেলা বৈশাখের দিনে বাঙালি তাদের সকল পুরনো হিসাব ভুলে এক নতুন শুরুর দিকে এগিয়ে যায়।

অর্থাৎ ব্যবসায়িক পর্যায়ে হোক, পারিবারিক জীবন হোক কিংবা সামাজিক জীবন, বাঙালিরা এই নতুন আগমনকে স্বাগতম করে অনেক আনন্দের সাথে। এই দিনে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিতুন হালখাতা খুলার প্রথা বহোকাল ধরে বয়ে এনেছে। বাংলার অঞ্চলের মানুষ ঋতুভিত্তিক উৎসবের সাথে গভীরভাবে আবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে বাংলা সং প্রবর্তনের মাধ্যমে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনের এই বৈশাখী উৎসব বাঙালি জীবনে অন্যতম আনন্দময় ও আনন্দঘন দিন হিসেবে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশের বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ দেশের বিকাশ, স্থিতি এবং গড়নের মধ্যে স্বতান্ত্রিক বিশ্বাস নিয়ে চলে। আর বাঙালি সমাজের ধারণাটা এরকমই স্বতান্ত্রিকতা নিয়ে গঠিত তাই বাঙালির জীবনে তাদের এবং বিকাশে গুরুত্ব অনেক হারে বিস্তৃত এবং নিজস্ব সত্তায় জমা পুঁজির মত গুরুত্বপূর্ণ।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান

নিজ নিজ সংস্কৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ব্যাপকভাবে পালিত করার চেষ্টা প্রচলিত রয়েছে। তবে সাধারণত পহেলা বৈশাখের দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমিক এই দিনটি শুরু করা হয়। এই দিনে পুরনো সময় যে মনে করে অর্থাৎ আমাদের বাঙালি পুরনো কৃষকদের অবদান এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ খাওয়ার মাধ্যমে এই দিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।

পহেলা বৈশাখের দিনে হালখাতা খোলা বিভিন্ন, সংস্কৃতিক কার্যকলাপ আয়োজন, পহেলা বৈশাখের খাবার ও আনন্দ উদযাপনের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর নববর্ষে শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি এর সংযোগের উপর বিবেচনা করে বাংলাদেশে আয়োজিত এই শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কোর কর্তৃক 'মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য' হিসেবে ঘোষিত করে।

পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি

বাঙালির প্রাচীনতম ঐতিহ্যের মধ্যে একটির নাম হলো পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষের উৎসব। বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক সংস্কৃতি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক নিবিড় ভাবে জড়িত। পুরান কে মুছে দিয়ে নতুন কে গ্রহণ করার এক উৎসবে প্রেরণা হলো পহেলা বৈশাখের উৎসব। বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা এবং উপলব্ধি করার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের এই দিনটি জ্ঞাপন হয় যা যেকোনো জাতির জন্যই অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।

পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি হাজার বছর ধরে এ দেশের জাতিসত্তার মধ্যে উজ্জ্বল আমেজ নিয়ে আসে। বাংলা গ্রামে পহেলা বৈশাখের দিন পহেলা বৈশাখের দিন দই-চিড়ার মাধ্যমে মুখ মিষ্টি করে এই দিন শুরু করা হয়। সকালবেলা অতিথি আপ্যায়নে গ্রামবাংলায় দই-চিড়া দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রথা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা নতুন হালখাতা খোলার আনন্দে মিষ্টি দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকতা প্রকাশ করে।

নতুন পোশাক পরিধান করে, রঙ্গিন পরিবেশনার মাধ্যমে বাঙালি এই দিনের আমেজ ফুটিয়ে তোলে। পহেলা বৈশাখ কেবল বাংলা সংস্কৃতিরই এক উৎস নয় বরং এটি দেশপ্রেমের বিরাট এক প্রতীক। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিদেশি সংস্কৃতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে তুলে নিজস্ব সংস্কৃতি, ধারক এবং ঐতিহ্য বাহক হিসেবে আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকে।

পহেলা বৈশাখের খাবার

এ বছর আসছে বৈশাখে আর বেশিদিন নেই। বৈশাখে বরণ করতে সকল বাঙালি প্রচুর উৎসুক হয়ে থাকেন। বৈশাখ বরণের জন্য চলে বাঙ্গালীদের মধ্যে নানা রকম প্রস্তুতি, সাজসজ্জা, খাবারের আয়োজন ইত্যাদি আমেজে ভরপুর পরিবেশ। বৈশাখীর দিনে ওর ভীষণ কৃত খাবারের বাঙালির ছোঁয়া থাকে। বাঙালি ঐতিহ্য প্রচলিত খাবার দিয়ে বৈশাখের দিনে সকল আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ভাত- ভর্তা-ইলিশ মাছ প্রতিনিয়তই বাঙালি প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। তাছাড়া নানা রকম মিষ্টান্ন ও পিঠার সমাহার এই উৎসবে দেখা যায়। পহেলা বৈশাখের এই উৎসবে গ্রামবাংলায় ও শহরের মাঠগুলোতে বিভিন্ন রকম মেলার আয়োজন হয় যা সচরাচর বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত। এই মেলাতে বাঙালির পরিচিত প্রায় সব রকমের পিঠা, মিষ্টি, ভর্তা, নাস্তা সবকিছুর দেখা মিলে।

বিশেষ করে মুরলি, বাতাসা, কদমা, নিমকি, খাগড়াই, দই, মুড়ি, চিড়া, হাতে তৈরি মিষ্টি বা চিনি ছোট ছোট প্রতিকি, হরেক রকম ভর্তা, হাওয়াই মিঠাই ইত্যাদি দেখা যায়। বৈশাখের দিন শুরু হয় দই-চিড়া খাওয়ার মাধ্যমে এবং এই দিনে অবশ্যই পান্তা ভাত, ইলিশ, মরিচ, ভর্তা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

পহেলা বৈশাখের পোশাক

বছর ঘুরে আবারও আসছে বাংলা নববর্ষ। নানান বাহারি রং বৈচিত্র্যের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখে দিনে বস্ত্র ধারণ করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাল সাদা রঙের আধিক্য রয়েছে। এই রীতির কোন পরিবর্তন নেই। না জানি প্রায় কত কাল ধরে বাংলার এই পহেলা বৈশাখের দিনে লাল-সাদা পরিধানের রীতিনীতি চলে আসছে। বাঙালির ঐতিতে ধারণা করা হয়, পহেলা বৈশাখ মানেই লাল সাদা রং।

সাধারণত লাল সাদা রঙে শুভ রঙ হিসেবে এবং নতুন বছরের প্রবর্তক হিসেবে ধারণ করা হয়। এই দিনে ছেলেদের পরিধানে পাঞ্জাবি থাকে এবং নারীরা বাঙালির ঐতিহ্য শাড়ির মাধ্যমে নিজেদেরকে ফুটিয়ে তোলে। ঐতিহ্যের দিনের এই পোশাকের মধ্যে কোন বয়স সীমা নেই। ছোট থেকে মধ্যবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই এই দিনে শাড়ি পাঞ্জাবির মাধ্যমে নিজেদেরকে গুছিয়ে রাখেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বাঙালিয়ানা জুতা এবং অন্যান্য সামগ্রীর ছোঁয়া এই দিনের সাজসজ্জা মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বৈশাখী মেলা

পহেলা বৈশাখের দিনকে ধারণ করে বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। বৈশাখী মেলার মূল উদ্দেশ্য পহেলা বৈশাখের আমেজ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। এই মেলা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাহিরে কিছু জায়গায় আয়োজিত হয়ে থাকে। প্রতিবছর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কানাডা এবং যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী প্রবাসী কর্তৃক উৎসাহিত হয়।

বাংলাদেশে এই মেলা আয়োজনের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান গুলোর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, রংপুর, দিনাজপুর, পায়রাবন্দ, ফুলছড়ি ঘাট এলাকা, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, মহাস্থানগড় এলাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মহেশপুর, খুলনা সাতগাছি, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট এর জাফলং, বরিশালের ব্যাসকাটি বাটনাতলা, মণিপুর, মাদারীপুর, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ এবং মুজিবনগর এলাকা অন্যতম।

এছাড়া ঢাকা নিকটবর্তী কিছু এলাকার মধ্যে টঙ্গীর স্নান কাটা মেলা, মিরপুর দিগাঁও মেলা, শ্যামসিদ্ধি মেলা, ভাগ্যকুল মেলা,সোলারটেক মেলা, কুকুটিয়া এবং রাজনগর মেলা বৈশাখী মেলার আয়োজন হিসেবে উল্লেখযোগ্য। মূলত বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয় কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকা নিয়ে। বৈশাখী মেলায় নানারকম কুটির শিল্প, শিল্পজাত নানা সামগ্রী, বিভিন্ন রকম মিষ্টান্ন থাকে।

আরো থাকে হরেক রকম পিঠাপুলি, বাচ্চাদের আকর্ষণীয় বাঙালিয়ানা খেলনা, ছোট ছোট পশু পাখির আকারে হাতে তৈরি করা খেলনা, বিভিন্ন রকম হস্তশিল্পের সামগ্রীর আয়োজন। এছাড়াও মেলাতে পান্তা ভাত ও ইলিশের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সাথেই থাকে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। বৈশাখী মেলা পহেলা বৈশাখের এই দিনটিকে উৎসবমুখর করার জন্য অন্যতম একটি উৎস।

লেখকের মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ ও বাঙালির সংস্কৃতি এর তাৎপর্য উপলব্ধ করা যায়। আশা করি পহেলা বৈশাখের বিস্তারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কিত এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে পেরেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আশেপাশের সকলকে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url