কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকের এই পোস্টের আলোচনা। সাথে আরো থাকছে অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ ও এর বিস্তারিত আলোচনা। আজকের এই পোস্টটির সাথে থাকুন মনোযোগ সহকারে পড়ে কোমর ব্যথার বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
আমাদের আসেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত কোমর ব্যথায় ভুগছেন এবং কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সমূহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ এবং কোমর ব্যাথার বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।

ভূমিকা

কোমর ব্যথার মত প্রচলিত এক শারীরিক যন্ত্রণার সাথে কম বেশি আমিরা সবাই পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে বসে না থাকাকে কোমর ব্যথার জন্য দায়ী করা হয় এবং কোমর ব্যথার এই সমস্যায় অল্প বয়স্ক থেকে শুরু করে মাঝারি বয়স কিংবা প্রাপ্তবয়স্কর যেকোনো ব্যক্তি ভুগতে পারেন। একজন সাধারন মানুষ কিভাবে বুঝবে কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ? আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার, কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায়, গ্যাসে কোমর ব্যথা এবং কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম সম্পর্কে।

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

কোমর ব্যথা পরিচিত এক সমস্যা হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি কোন মারাত্মক রোগের লক্ষণ হিসেবে গণ্য হয় না। সাধারণত শরীরের লিগামেন্ট ও পেশি হঠাৎ করে চাপ অনুভব করলে কিংবা টান খেলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। মেরুদন্ডের হাড়ের মাঝের ডিস্ক বা চাকতি অবস্থানচ্যুত হলে কোমরে ব্যথা হয়। সাধারণত কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে দুর্বলতা, কোমর, নিতম্ব ও পায়ে ঝিমঝিম ভাব দেখা দেয়। এছাড়াও কোমর ব্যথা যে সব রোগের লক্ষণ হতে পারে তা নিম্নরুপ।

অস্টিওপোরেসিসঃ হাড়ের বিশেষভাবে চিহ্নিত একটি রোগ অস্টিওপোরেসিস যা হাড় ক্ষয়ের কারণে হয় ফলে কোমর, পিঠ এবং সারা শরীরে ও বোন জয়েন্টে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এটি নিরব ঘাতক ব্যাধি হিসেবে পরিচিত তাই কোমরে ব্যথা কিংবা স্পাইনাল ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

হাড়ের টিবিঃ কোমর বা পিঠে অনিয়মিত যন্ত্রণা বোন টিবি বা হাড়ের টিবির কারণ হতে পারে। তবে এই ব্যথা মেরুদন্ড থেকে হিপ পর্যন্ত গড়িয়ে থাকে।

কিডনি জনিত সমস্যাঃ কোমরের অস্বাভাবিক ব্যথায় সাধারণত কিডনি সম্পর্কিত সমস্যা মাথায় আসলেও নিশ্চিত হয়ে দেখতে হবে এই ব্যথা কোমর থেকে পিঠ পর্যন্ত ছড়াচ্ছে কিনা।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতিঃ শরীরকে স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থায় রাখতে ভিটামিন ডি ও অন্যান্য প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোমর ব্যথা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ হতে পারে।

সি সেকশনঃ নারীদের সি সেকশনে ডেলিভারি করার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয় যা পরবর্তীতে নারীদের জন্য অস্বাভাবিক কোমর ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই কারণে ঘটিত কোমর ব্যথা কোন গুরুতর রোগের লক্ষণ নয়।

নিম্ন রক্তচাপঃ নিম্ন রক্তচাপে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দুর্বল শরীর ব্যথা সংগ্রহ করে। তাই কিছু ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা ব্যক্তির শরীরের দুর্বলতার লক্ষণ প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় হলো দেহের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা।

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ

অল্প বয়সী থেকে বৃদ্ধ বয়সী পর্যন্ত কমবেশি প্রায় অনেকেই কোমর ব্যথার মত পরিচিত সমস্যায় ভুগেছেন। কিন্তু অল্প বয়সে এই ব্যথা হওয়া অবশ্যই স্বাভাবিক বিষয় নয়।অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো।
  • দীর্ঘদিন একই ধরনে বসে কাজ করা বা একই ভঙ্গিতে বসে থাকা।
  • ঠিকমতো না বসে অস্বাভাবিক অবস্থান নিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকা কিংবা চেয়ারে বা সোজা হয়ে বসার সময় সাম্নমনে পেছনে কাত বা ঝুঁকে বসার কারণে অল্প বয়সেই কোমর ব্যথার উদ্ভব ঘটে।
  • মেরুদন্ডতে অস্বাভাবিক চাপের প্রভাবে কোমর ব্যথা হয়। যেমন : দীর্ঘক্ষণ বা দীর্ঘদিন ধরে ড্রাইভিং এর অভ্যাস যাবে তাদের কোমর ব্যথা দেখা দেয়।
  • এছাড়াও এখনের তরুনেরা বেশিরভাগ সময়ে শুয়ে বসে নিজেদের কাজ সম্পাদন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এই অলসতা তাদের মেরুদন্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে এবং অল্প বয়সে কোমর ব্যথা হয়।
  • ভারী জিনিস এলো পাতারে তুললে তা মেরুদন্ডে চাপের সৃষ্টি করে। অল্প বয়সী তরুণ কিংবা তরুণীরা দ্রুত তাদের কাজ সম্পাদনের জন্য সঠিক নিয়ম না মেনে ভারী জিনিস উত্তোলন করে ফলে মেরুদন্ডে প্রভা পরে এবং তা কোমর ব্যথার অনুভূতি দেয়। সহজ কথা অনিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপনের জন্য অল্প বয়সে কোমর ব্যথার প্রভাব বেড়ে চলছে।

মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার

কোমর ব্যথা অনেক রকম কারণে হয়ে থাকে তবে মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রবণতা ও হার পুরুষের কোমর ব্যথায় তুলনায় বেশি দেখা যায়। অনুপাতের হিসাবে দেখতে গেলে নারী ও পুরুষের কোমর ব্যথার তুলনামূলক হার হচ্ছে ৩ঃ১। বেশিরভাগ কারণ দৈনন্দিন কাজের অনিয়মিত ধরন হয়ে থাকলেও কিছু স্বাস্থ্য ভিত্তিক কারণেও মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া কোমর ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হলো গর্ভাবস্থা।

গর্ভাবস্থাকালীন সময়ে প্রায় অধিকাংশ নারীকে কোমর ব্যথায় ভুক্ত দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাংসপেশি অসঞ্চালন ও মেরুদন্ডের হাড়ে চাপের প্রভাবে বা ডিস্ক, সন্ধি কিংবা স্নায়ু সম্পর্কিত কিছু নির্দিষ্ট কারণে কোমর ব্যথার প্রকোপ দেখা যায়। আর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে কোমর ব্যথা কমবেশি প্রায় সবাই ভুগল কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি বিরাট আকারে দেখা যায় যেখানে নারী ভুক্তভোগের সংখ্যা অধিক হারে থাকে।

কোমর ব্যথার কারণঃ

  • গর্ভাবস্থায় প্রায় অধিকাংশ নারী কোমর ব্যথার সম্মুখীন হন তবে কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে তা পরবর্তী সময়ে বড় আকারে প্রতিলক্ষিত হয়। এর কয়েকটি অন্যতম কারণ হলো শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া যার ফলে সন্ধি ও বেশির ওপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং সি সেকশনের সময় দেয়া এনেথেশিয়ার কারণেও পরবর্তী সময়ে এটি অসহনীয় কোমর ব্যথার আকার ধারণ করে। সাথে এ সময় অতিরিক্ত ভার বহন করার জন্য মাতৃত্বকালীন কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত ওজন ধারণকারী নারীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয়। এটির আরেকটি কারণ হিসেবে ধরা হয় অস্টিওপরেসিস নামক একটি রোগকে।
  • সারাদিন এর কাজের ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে বসে ও শুয়ে শুয়ে কাজ করার ফলেও নারীদের কোমর ব্যথা দেখা দেয়। যেমন, ঘরের কাজের সময় অনিয়মের সাথে কিংবা বাঁকা হয়ে বা ঝুঁকে বসে কাজ করার ফলে।
  • অতিরিক্ত সময় প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে একই জায়গায় একইভাবে বসে থাকার ফলে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।
  • সাধ্য ও সহনের বাইরে ভারী জিনিসপত্র উত্তোলনের ফলে নারীদের শুয়ে অতিরিক্ত চাপ পরে ফলে কোমর ব্যথা অনুভূত হয়।
  • অনিয়মিত জীবন যাপনের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে কিডনি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি জনিত সমস্যা কোমর ব্যথার একটি উল্লেখিত কারণ। তবে এই ব্যথা কোমর থেকে মেরুদন্ড পর্যন্ত প্রসারিত হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • আমাদের দেশে মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে থাকে এর ফলস্বরূপ তাদের কোমর ব্যথা দেখা যায়।
  • এছাড়াও মাসিকের কারণে, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েডস এবং পেলভিকের প্রদাহজনিত কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।

 কোমর ব্যথার প্রতিকারঃ

মহিলাদের কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় যেটি প্রতিকার হিসেবে কার্যকরী তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়া হলো। আমাদের কিছু সাধারন অভ্যাস ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন কোমর ব্যথাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে দূর করে দিতে পারে। তাই কোমর ব্যথার প্রতিকার হিসেবে আমাদের নিত্য দিনের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

যেমনঃ- নিয়মে হাঁটা-চলা-বসা, ত্রুটি পূর্ণ শয়নব্যবস্থা পরিহার করা ও নরম বিছানা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা, ভুল ও ক্ষতিকর অঙ্গভঙ্গি বা অভ্যাস পরিহার করা, বাঁকা হয়ে বসা বা দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস পরিহার করা, মেরুদন্ডে দীর্ঘস্থায়ী চাপ পড়ে এমন কাজ সাবধানতার সাথে করা, সঠিক নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করা ইত্যাদি।

গ্যাসে কোমর ব্যথা

গ্যাসের কারণে ঘটা কোমর ব্যথা কোমর থেকে পিঠ পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। প্রতিবছর দেশে কোমর ব্যথা বা স্পাইনাল কর্ডের সমস্যার বেড়ে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ১০ কোটির মত মানুষ। সাধারণত গ্যাসের কারণে কোমর ব্যথা কেমন একটা পরিচিত প্রাপ্ত হয়নি তবুও গ্যাস্ট্রিকের কারণে শুয়ে নানা রকম ব্যথা বা সমস্যা হয়ে থাকে।

সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পেটে কিংবা পিঠে ব্যথা হয় এবং এর কারণে কোমরে ব্যথা খুবই দুর্লভ আকারে দেখা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল শাকসবজি এবং গোটা শস্যের সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। শরীরকে হাইড্রেটেড রেখে অতিরিক্ত চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। সাথে কার্বনেটের পানীয় ও ধূমপান জাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলতে হবে এরপর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কাজ করতে হবে।

কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম

মেরুদন্ডের একদম নিম্ন অংশের দিক থেকে যে ব্যথা অনুভূত ঘরোয়া পদ্ধতি ও ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত পৌঁছানো কালীন সময়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ তাদের জীবনকালে তরুণ বা প্রাপ্ত বয়সে কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথাতে ভুগেছেন যার মধ্যবয়সী মানুষের হার প্রায় ১১.৮ শতাংশ থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশে এসে থেমেছে।

তাছাড়া কোমর ব্যথার কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ১১ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন। এই কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় হিসেবে ঘরোয়া এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামের অন্য কোন জোর নেই। তবে ব্যায়াম ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণের সাথে দৈহিক জীবনে হাটা ও বসার ক্ষেত্রে দেহের অবস্থান সঠিক নিয়মে রাখা জরুরী। কোমর ব্যথার প্রতিকার হিসেবে কিছু ঘরোয়া এক্সারসাইজ এর ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

ব্রিজিং এক্সারসাইজ

ব্রিজিং এক্সারসাইজ এক ধরনের ঘরোয়া ব্যায়াম যার ফলে ব্যক্তির শরীরের গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস বা গঠনে সহায়ক হয় এবং নিতম্ব ও কোমরের পেশি সরল ভাবে কাজ করে যার ফলে মেরুদন্ডের শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে কোমরের ব্যথা কমতে থাকে। এর জন্য প্রথমে সমান্তরাল একটি স্থানে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং এরপর শরীর যতক্ষণ কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটি রেখার ন্যায় প্রতিফলন না আনে ততক্ষণ দুই হাটু ভাঁজ করে নিচে থেকে কোমর উপরে তুলুন।

এরপর দুই হাত ও পা এর উপর একত্রে ভর প্রদান করে পেটের উপরের দিকে হাত ও পাদুটো ধরে রাখুন। এবার কোমর পূর্বের অবস্থানে নিচে নামিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এই ব্যায়ামটি ১৫ বার করে এক মিনিটের বিশ্রাম গ্রহণ করুন এবং ১৫বার এর তিনটি সেট করুন।

লেগ ফ্লেক্সন

লেগ ফ্লেক্সন দু ধরনের হয়ে থাকে, একটি সিঙ্গেল লেগ ফ্লেক্সন আরেকটি ডাবল লেগ ফ্লেক্সন। সিঙ্গেল লেগ ফ্লেক্সনের জন্য প্রথমে সোজা হয়ে সমান্তরাল স্থানে শুয়ে পড়ুন এবং একটি পা সোজা রেখে অপর পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে দু হাত দিয়ে ধরে কাঁধ বরাবর নিয়ে আসুন। পরবর্তীতে পান আমিও পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসুন এবং কিছু সেকেন্ডের জন্য বিশ্রাম গ্রহণ করুন।

একইভাবেই প্রক্রিয়া অপর পা এবং কাজ বরাবর করতে থাকুন। এক মিনিটের বিশ্রামে এই ব্যায়ামের ১৫ বিক্রি ১০ বার করে, দশটি পুনরাবৃত্তির জন্য দুই সেট করে ব্যায়ামটি অনুশীলন করুন। ডাবল লেগ ফ্লেক্সনে একই পদ্ধতিতে শুধু একটি পায়ের পরিবর্তে একই সাথে দুটি পা ব্যবহারে এই ব্যায়ামটি অনুশীলন করতে হবে।

কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায়

নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট নানা কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। কোমর ব্যাথার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এর কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা বা টোটকা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয়ে আসে যা বিশেষ ক্ষেত্রে কার্যকরীও হয়েছে। কোমর ব্যথা নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায় সমূহ দেয়া হলো।
  • কোমরে সেঁক নেয়া। অর্থাৎ কোমরে ব্যথার স্থানে গরম কিছুর সেঁক দিলে কোমরের এই যন্ত্রণা কিছুটা কমে আসে। এটি কোমর ব্যথা সারানোর একটি তাৎক্ষণিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রতিদিন আদা খেলে, আদতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের নার্ভের সমস্যা দূর করে এবং কোমর ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন লেবুর শরবত কোমর ব্যথার উপশম হিসেবে বেশ কার্যকরী। কেননা ভিটামিন সি যেকোনো যন্ত্রণার এবং ত্বকের সমস্যার উপশম হিসেবে কাজ করে।
  • নিয়মিত অ্যালোভেরা খেলে অর্থাৎ অ্যালোভেরার শরবত বানিয়ে খেলে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
  • শারীর যন্ত্রণার ক্ষেত্রে হলুদ খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। অতিরিক্ত কোমর ব্যাথার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হিসেবে দুধের মধ্যে কিছু হলুদ মিশিয়ে তা পান করলে কোমর ব্যথা অনেকটা কমে আসে।
  • ঘরোয়া উপাদানের কথা আসলে মেথির বীজ বাদ যায় না। গুড়া দুধ এবং মেথির বীজের মিশ্রণ যন্ত্রণার স্থানে মেসেজ করলে ব্যথা কমার সম্ভাবনা থাকে।
  • অবশ্যই ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবারকে অবহেলা বা অনীহা প্রকাশ করা যাবে না। নিয়মিত সুষম খাদ্য, দুধ, ঘী, পনির, বাদাম, সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাথা থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

লেখক এর মন্তব্য

আশা করি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কোমর ব্যথার কারণ উপশম ও কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নিয়ে আসা সম্ভব। আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকবে বা যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে কোমর ব্যথার বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url