টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার এর বিস্তারিত তথ্য জানুন
টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকে আমাদের আলোচনা। সাথেই থাকছে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল সৃষ্টিকারী প্রশ্ন, টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে তা সম্বন্ধীয় আলোচনা। তাই এই আজকের পোস্টটির সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে টাইফয়েডের বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
টাইফয়েড জ্বর আমাদের দেশে খুবই সাধারণ এবং সচরাচর ঘটে যাওয়া একটি রোগ। যার কারণ অনেকেই টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। চলুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিই টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে, এর বিস্তারিত তথ্য এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ।
ভুমিকা
ব্যাকটেরিয়া বাহিত একটি রোগ টাইফয়েড বা টাইফয়েড জ্বর আমাদের প্রায় সকলেরই চেনা। তবে এই টাইফয়েড জ্বর আমাদের অঞ্চলে বেশ প্রচলিত হওয়ায় এর জন্য প্রতিরোধমূলক আচরণ এবং প্রতিকার এর ধারণার প্রতি অনেক অচেতনতা রয়েছে। তাই আজকের পোষ্টের বিস্তারিত আলোচনায় আমরা জানবো টাইফয়েড কি, টাইফয়েড কেন হয়, টাইফয়েড এ পরবর্তী সমস্যা, টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে, টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে।
টাইফয়েড কি
সালমোনেলা টাইফি নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত মারাত্মক এক ব্যাধির নাম টাইফয়েড বা টাইফয়েড জ্বর। সাধারণত টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশের ৬ থেকে ৩০ দিন পর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণগুলো দৃশ্যমান হয় যা সচরাচর মৃদু থেকে তীব্র হতে পারে। টাইফয়েড জ্বরের ব্যাকটেরিয়া রক্তে ও অন্ত্রে বৃদ্ধি পায় যা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। তারপর জ্বর সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা ও পেটব্যথা তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তির ত্বকে র্যাশ এবং ডায়রিয়া বমির ভাবও দেখা যায় যার সংখ্যা খুবই কম।
টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার
টাইফয়েড এর লক্ষণ সহজে ধরা পড়ার মতো না। শুরুর দিকে টাইফয়েড এর চাপা লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলেও এটি সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেতে কখনো কখনো ছয় থেকে ত্রিশ দিন পর্যন্ত সময় নেয়। টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ কখনো তীব্র কখনো বা মৃদু আকারের হতে পারে। টাইফয়েড আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা হীন অবস্থায় সপ্তাহ কিংবা মাসখানেক পর্যন্ত টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ বহন করতে পারে।
সচরাচর দুর্বলতা পেট ব্যথা কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাব্যথা ইত্যাদিকে টার্বর জ্বরের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে টাইফয়েডের লক্ষণে এগুলোর সাথেই ডায়রিয়া, বমি এবং বিভিন্ন রকম র্যাশ কিংবা গোলাপি স্পট এর দেখা পাওয়া যায়। কোন ব্যক্তি টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছুদিন পরও এর কোন স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া যায় না।
প্রাথমিকভাবে লক্ষণ হিসেবে অস্বস্তি, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, সম্পূর্ণ শরীরের ব্যথা অনুভব ইত্যাদি দেখা যায়। এ লক্ষণ গুলোর সাথে যে জ্বর টিপয়েডের জ্বর হিসেবে থাকে অন্যান্য জ্বরের চেয়ে একটু দৃঢ় হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে যা সময় অনুসারে বাড়তে থাকে। টাইফয়েডের মাত্র অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে রোগী অচেতন হয়ে যেতে পারে, এমনকি প্রলাপও বকতে পারে। টাইফয়েড জ্বরের কিছু লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হল। উচ্চমাত্রার জ্বর থাকা যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট কিংবা তার বেশি হয়ে যেতে পারে।
- সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব এবং মাথা ব্যথা হওয়া।
- অস্বাভাবিক শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা।
- খাওয়ার প্রতি অনীহা জন্ম কিংবা ক্ষুধামন্দা মনোভাব
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
- বমি কিংবা বমি বমি ভাব পর্যন্ত এসে থামা
- শরীরে অলসতার প্রবণতা বৃদ্ধি
- অস্থিরতা কাজ করা
- পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা অনুভব হওয়া
- প্রচন্ড কাশি ও কফ জনিত সমস্যার দেখা পাওয়া
- পেটের ওপরে কিংবা পিঠের দিকে লালচে দাগ কিংবা র্যাশ হতে পারে
- টাইফয়েড জ্বরের দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পর রোগীর পেটে এবং পিঠের দিকে লালচে কিংবা গোলাপী বর্ণের দানা হওয়া
- হৃদ স্পন্দন কমে যাওয়া বা নিম্ন রক্তচাপ এর লক্ষণ এর সাদৃশ্য পাওয়া
- শরীরে পানি শূন্যতা ঘটা ইত্যাদি।
টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার এর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এর প্রতিকার হিসেবে সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হলো টাইফয়েড এর দুটি প্রধান ভ্যাকসিন গ্রহণ করা। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে জীবন যাপন করতে হবে, প্রতিটি খাবার ভালোমতো সিদ্ধ করে খেতে হবে যেন কোন খাবার হাফ-কুকড না থাকে, ঠান্ডা জনিত খাবার এড়িয়ে চলা, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবহার না করা এবং টাইফয়েড আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত টয়লেট কিংবা খাবার সামগ্রী থেকে দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে আমরা টাইফয়েডের প্রতিকার নিয়ে আসতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দূষিত পানি, দূষিত খাদ্য এবং দূষিত ও পরিচ্ছন্ন স্থান পরিত্যাগ করার মাধ্যমে টাইফয়েড এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
টাইফয়েড কেন হয়
টাইফয়েড মূলত একটি পানি বাহিত রোগ তবে পর্যাপ্ত স্যানিটেশন, দূষিত পানির ব্যবহার, ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে সাধারণত শরীরে টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। সহজ কথায়, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলে শরীরে সালমোনেলা টাইফির প্রবেশ বা অন্যত্র সংক্রমণের মাধ্যমে টাইফয়েড রোগ দেখা যায় টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শ এবং দূষিত খাদ্য এবং দুধের মাধ্যমে টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহের খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে।
নিত্য দিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীন আচরণের ফল হিসেবে টাইফয়েড দেখা দেয়। সাধারণত পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যম ছাড়ায়। দূষিত স্থান যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তি মল থেকে টাইফয়েড জ্বরের জীবাণু আমাদের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সেই অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ হয়ে ওঠে টাইফয়েডের ঝুঁকির কারণ। সাধারণত অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরিচ্ছদ, অপরিষ্কার হাত, অনিরাপদ দূষিত পানি পান ও ব্যবহার, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস, ঠান্ডা খাবার গ্রহণ ও ঠান্ডা পানি পান করা, অপরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার, বসতির আসেপাশে পানি জমে থাকায় ও আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলে টাইফয়েড এর সংক্রমণ ঘটে।
টাইফয়েড এ পরবর্তী সমস্যা
টাইফয়েড এমন একটি মারাত্মক ব্যাধি যা সেরে গেলও মানবদেহে এর নিজস্ব রেশ রেখে যায়। টাইফয়েডের জটিলতা হিসেবে গাট পারফোরেশন অর্থাৎ অন্ত্রে ঘা হয়ে ছিদ্র হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে যার ফলে রক্ত ক্ষরণের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও টাইফয়েড এর পরবর্তী সমস্যা হিসেবে অগ্নাশয় প্রদাহ, মস্তিষ্কে প্রদাহ, মস্তিষ্ক বিকল হওয়া, পিত্তথলিতে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া দেখা যায়।
আবার মেরুদন্ডের বিভিন্ন সংক্রমণ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া-ফুসকুড়ি ছাড়াও স্নায়ু কেন্দ্রিক সমস্যাও দেখা যায়। টাইফয়েড জ্বরের নিরাময়ে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে এর পরবর্তী জটিলতা হিসেবে কিডনিতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়ে থাকলে দেহে টাইফয়েডের জীবাণু প্রবেশ করলেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়া সহজ নয়।
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
কোন রোগের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যাখ্যা করা যায় না। টাইফয়েডের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা চিকিৎসকল অ্যান্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে করে থাকেন যা একটি নির্দিষ্ট ডোজ গ্রহণের পর তার ফলাফল দেখিয়ে দেয়। দ্রুত টাইফয়েডের চিকিৎসা শুরুর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পর তারপর জ্বর ৫ দিন বা খানিকটা বেশি সময়ের মধ্যে কমে যেতে পারে। তবে টাইফয়েডে হওয়ার পর চিকিৎসার বিলম্ব করলে এই জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী সময় নিয়ে ব্যক্তির শরীরে স্থান করে নিতে পারে। অর্থাৎ বিনা চিকিৎসায় টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ মানবদেহে মাসখানেক পর্যন্ত থাকতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে
টাইফয়েড জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ যা সালমোনেলা টাইফি নামক এক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া সরাসরি কিংবা অপরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে টাইফয়েডে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। পানির মাধ্যমে টাইফয়েডের জীবাণু সংক্রমণ ঘটায় এবং এর জটিলতা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
টাইফয়েড জ্বর কোন পৃথক রোগ নয় বরং জ্বর এক প্রকার উপশম। টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে শরীরে দুর্বলতা চলে আসে। তারপর জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার এ আমরা জানতে পেরেছি এই জ্বরে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পানি জাতীয় জিনিসে গুরুত্ব দিতে হবে যেমন পরিমিত পানি পান করা, ডাবের পানি পান করা, বিভিন্ন রকম ফলের জুস, শরবত বা স্যুপ খাওয়া ইত্যাদি।
এছাড়া প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করা। সাথে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে লবঙ্গ তুলসী ও গোলমরিচ গ্রহণ করা। অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারও অবহেলা করা যাবে না। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যেমন আলু ভাত ইত্যাদি গ্রহণে রোগীর হজমে সুবিধা হবে এবং শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। সাথেই শুকনো আঙ্গুর এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
তারপর জ্বর হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়স কিংবা বয়সসীমা নেই। যেকোনো বয়সের ব্যক্তির টাইফয়েড হতে পারে তবে পাঁচ বছরের নিম্ন বয়সী শিশুরা তীব্রভাবে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। শিশুদের টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ হিসেবে তীব্র জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা ও কিছু ক্ষেত্রে পেট ফুলে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা যায়।
এছাড়াও শিশুদের জীবের উপর সাদা প্রলেপ জমে। টানা 5 থেকে সাত দিন জ্বর থাকে এবং তারই সাথে পেটবুক ও পিঠে লালচে বা গোলাপি দানা বা র্যাশ হয়। টাইফয়েড জ্বরের প্রাথমিক অবস্থাতেই শিশুদের চিকিৎসা শুরু না করার ফলে খিচুনি, পেট ফোলা, রক্ত যুক্ত পায়খানা, অসাড় ভাব, জন্ডিস কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি থাকতে পারে। শিশুকে এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করার জন্য অবশ্যই টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
লেখক এর মন্তব্য
আশা করি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা টাইফয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার এবং টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে নাকি মানুষের ভ্রম মাত্র তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। টাইফয়েড জ্বর এ আক্রান্ত হলে এটি একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনকে অগোছালো করে দিতে পারে তাই অবশ্যই এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা বহন করা জরুরী। এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে টাইফয়েড এবং এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url