কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় তার আলোচনা নিয়ে রয়েছে আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু। সাথেই থাকছে মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর কয়েকটা নাম। চোখের নিচের কিছু এলাকা জুড়ে অন্ধকার বা কালো আবরণ ডার্ক সার্কেল হিসেবে পরিচিত। সবগুলো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি চোখের নিচে হওয়া কালো দাগ সম্পর্কে ও এটি দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কোন-ভিটামিনের-অভাবে-চোখের-নিচে-কালো-দাগ-হয়
চোখের নিচে কালো দাগ হওয়ার কারন এবং কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় তা আমাদের অনেকেরই অজানা। তবে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হওয়ার হিসেবে চোখের নিচের কালো দাগ এর বিস্তারিত জানা এবং নিরাময়ের পদ্ধতি জানাও গুরুত্বপূর্ণ, যার আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে ধারনা অর্জন করে নিতে পারবেন।

ভূমিকা

চোখের নিচে বিবর্ণ বা কালো বা অন্ধকার আবরণের ন্যায় অস্বচ্ছ দাগ যা বেশিরভাগ ভুঙ্গুর বা পাতলা চামড়ার জন্য বেশি পরিলক্ষিত হয় এবং শরীরে ক্লান্তি ভাব নিয়ে আসে তাকে চোখের নিচের ঘটা কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল বলে। এই পোষ্টের সাথে আমরা আরো জানবো চোখের নিচে কালো দাগ কোন রোগের লক্ষণ, টুথপেস্ট দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়, মধু দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায় ও ছেলেদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে।

চোখের নিচে কালো দাগ কোন রোগের লক্ষণ

মানবদেহের চোখের চারিদিকে মেলানির নামক এক রঞ্জন পদার্থ পরিমানে অতিরিক্ত করে জমা হলে চোখের তলায় সেই অংশ কিছুটা গাঢ় বর্ণ ধারণ করে নেয় যা ধীরে ধীরে চোখের নিচে কালো দাগ তৈরি করে দেয়। সারা বিশ্বে প্রায় শতকরা বিশ থেকে ত্রিশ ভাগ মানুষ চোখের নিচে কালো দাগ হওয়ার এই সমস্যায় ভুগছে। আমাদের চোখের নিচের ত্বক বেশ পাতলা আবরণ নিয়ে গঠিত এবং এই অংশে মেদের পরিমাণ খুব কম থাকে।

ফলে এই মেয়ের যখন ঝরে যায় তখন চোখের নিচের কালো দাগ চোখে ধরা পড়ে। সাধারণত অনেকগুলো কারণে চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দিতে পারে তবে কয়েকটি উল্লেখিত কারণ হিসেবে যদি ধরা যায় সেখানে অনিদ্রা, মানসিক চাপ, ত্বকের এক ধরনের এলার্জি, কোনো বংশগত কারণবসত, ভিটামিন ডি এর অভাবে বা আয়রনের ঘাটতি দেখা গেলে, থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণ, পানি শূন্যতা, বার্ধক্য ও ধূমপানকে চিহ্নিত করা হয়।

চোখের নিচের কালো দাগ মানুষ ভেদে, শরীর ভেদে ও বিভিন্ন কারণ এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন অসুখের লক্ষণ হতে পারে। যেহেতু অরিদ্রা ডার্ক সার্কাসের অন্যতম কারণ তাই জানতে হবে হঠাৎ করে অনিদ্রা বা ঘুম না হওয়ার কারণ কি। হঠাৎ করে ঘুম ও ওজনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়াটা বিভিন্ন রকম রোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। যেমনটা, থাইরয়েড জনিত সমস্যার জন্য চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। একে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।

এছাড়াও যক্ষা (TB), রক্তাল্পতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি ক্ষেত্রে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাওয়া পূর্বাভাস হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। চোখের নিচে কালি দাগ হওয়ার ফলে যে শুধু এর ক্ষতিকর দিকই দেখা যায় তা নয়, রয়েছে এর নিরাময় ও। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে প্রয়োজন মত থেরাপি বা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা সম্ভব।

কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় তা পর্যবেক্ষণ করে আপনার প্রয়োজনীয় দিকটি বাছাই করে নিয়ে আপনার ডার্ক সার্কেলের মেরামত চালিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও বাহিরের সামগ্রী হিসেবে মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর ব্যবহারও অনেকে করে থাকেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয়

সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয়ে থাকে। আপনার শরীরে যখনই ভিটামিন ডির অভাব হবে তখন তার সর্বপ্রথম আপনার চোখের মাধ্যমে বোঝা যায়। অর্থাৎ শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটটির অন্যতম লক্ষণ হলো চোখের নিচে কালো ভাব জমে যাওয়া বা অন্ধকার আবরণ পড়ে যাওয়া।

তবে ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ যে শুধু এটিই তা নয়, এছাড়া আরো অনেক উপসর্গ দেখে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় যেমন, ক্লান্তি, অবসাদ, অনিদ্রা, হাড় ব্যথা ইত্যাদি। বলে রাখা ভালো, অবসাদ অনিদ্রার ফলেও চোখের নিচে কালো দাগ হয়। ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হলো প্রকৃতি থেকে পাওয়া সূর্যের রোদের মাধ্যমে।

শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য অনেক রকমের সাপ্লিমেন্টারি উপাদান থাকলেও রোদ থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার মত সহজ কিছু হতে পারে না। তবে এটি হতে হবে সঠিক সময়ে যেমন বেলা 11 টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে অল্প কিছুক্ষণ সূর্য স্নান করলে এর রশি থেকে ভিটামিন ডি লাভ হয় এবং অন্যান্য সময় সূর্যের তাপের ফলে আমাদের ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।

খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে সঠিক পুষ্টিগুণ অর্জন করে দেহে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব ফলে চোখের নিচের কালো দাগ দ্রুত দূর হয়ে যায়। কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় শুধু এই চিন্তা নিয়ে না থেকে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে পুষ্টিকর খাবার সংযুক্ত করে এই ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যেমন টক জাতীয় ফল, পেয়ারা কাঁচা মরিচ,  লাল মরিচ, কাঠবাদাম, কাঁচা বীজ, জলপাই, ব্রকলি, বিভিন্ন পাতাবহুল শাক এবং মূল জাতীয় সবজি, টমেটো, পেঁপে, তরমুজ ও লাল বাঁধাকপি, লৌহ জাতীয় খাদ্য সেবনে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। সবচেয়ে জরুরী মাছ, মাংস ও ডিম কে উপেক্ষা করা যাবে না। সাথেই প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা কারন শরীরকে কোন মতেই ডিহাইডেটেড হতে দেয়া যাবে না।

টুথপেস্ট দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে টুথপেস্ট এর ব্যবহার সবারই হয়ে থাকে। টুথপেস্ট ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তবে টুথপেস্ট এর ব্যবহার শুধু দাঁত মাজা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের ত্বকে কাঁটা-পোড়া স্থানের জ্বালা ভাব কমাতে টুথপেস্ট এর ব্যবহার প্রায় অনেক সময় ধরে প্রচলিত। এছাড়াও জুতা বা অলংকার পরিষ্কার থেকে নিয়ে বিভিন্ন পরিষ্কার কাজে সহায়ক সামগ্রী হিসেবে।

তাছারা দুর্গন্ধ নাশক হিসেবে ও রূপচর্চার কিছু ক্ষেত্রে, পায়ের কালো দাগ দূর করতে এবং বিশেষ করে চোখের নিচের কালো দাগ সরাতে টুথপেস্ট এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। টুথপেস্ট ব্যবহার করে চোখের নিচের এই ডার্ক সার্কেল দূর করতে প্রথমেই টুথপেস্ট এর সাথে অ্যালোভেরা জেল ভালোমতো মিশ্রিত করে একটি পেজ তৈরি করতে হবে। তবে এই মিশ্রণ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চোখের নিচের ত্বকের যে জায়গায় ব্যবহার করা হবে সেটি ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি গোলাপ জল দিয়ে আলতো করে পরিষ্কার করে নেয়া হয়। এরপর দুই থেকে তিন মিনিট সময় নিয়ে চোখের নিচে এই মিশ্রণটি আলতো করে ঘষতে হবে এবং সবশেষে জল দিয়ে চোখের নিচে ও পুরো মুখমণ্ডলের অংশটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই পেস্ট এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালচে ভাব এবং বলিরেখার সমস্যা দূর হয়।

মধু দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করার উপায়

মধু তে থাকা এর মশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের মশ্চারাইজার লক করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। চোখের নিচের দাগ দূর করতে মধু ক্লিঞ্জার, টোনার, ময়েশ্চারাইজার সব রূপেই ব্যবহারযোগ্য। কেননা মধু এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতি না করেই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন গুণের সাহায্যে অনেক উপকারী ফলাফল দিয়ে থাকে। মধু ব্যবহার করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল।

  • কফি বিনের গুরোর সাথে মধু এবং কোকো পাউডার ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চোখের নিচের অংশে ব্যবহার করলে চোখের নিচের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়। এটি ক্লিঞ্জার এর মতো করে ব্যবহার করে হালকা সুপ্ত হয়ে আসলে পরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিষ্কার করার পর সবশেষে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
  • প্রতিদিন টোনার হিসেবে মুখে মধু লাগিয়ে ব্যবহার করলে এটি চোখের নিচের দাগ দূর করতে সাহায্য কর।
  • মধু, গোলাপজল এবং দই মিশিয়ে তৈরি করা প্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকানোর পর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এইটি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
  • মধু এবং শসার রস একত্রে মুখে লাগালে এটি মুখের দাগ এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। শশা এবং মধু মুখে লাগিয়ে রাখার পর এরে কিছুক্ষণ সময় দিতে হবে যেন শুকিয়ে আসে। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
সপ্তাহে তিনবার করে এ উপায় গুলি ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা দিনের ব্যস্ততা, পড়াশোনা চাপ, অফিসের কাজ ইত্যাদির মাঝখানে আলাদাভাবে ব্যক্তিগত সময় বের করা প্রায় কঠিন। তাই কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় বা কি কারণে হচ্ছে এই দাগ তার সঠিক কারণ জেনে তবেই কনো ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। যদিও সহজে কিছু আই ক্রিম ব্যবহার করে মেয়েরা তাদের কালো দাগ সরিয়ে ফেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

ত্বকে ব্যবহারযোগ্য এই ক্রিমগুলো আমাদের মুখমন্ডলে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বাধা দেয় এবং ত্বকে এনার্জেটিক লুক নিয়ে আসতে সহায়তা করে। তবে নিচের দাগ কিংবা মুখের দাগের জন্য ব্যবহৃত এই ক্রিমগুলো সাময়িকভাবে উপকার করলেও এটি স্থায়ী হয় না। কারণ এই ক্রিম গুলো আমাদের মুখের দাগ গুলোকে ভিতর থেকে সারিয়ে তুলে না, কেবলমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্যই ব্যবহৃত হয়। মেয়েদের চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ক্রিম হলো।

সেরাভে আই রিপেয়ার ক্রিম: এটি চোখের নিচের ফোলা ভাব এবং ভাজ কমিয়ে আনে। এর সিরামাইড উপাদান চোখের নিচের এলাকা স্বাস্থ্যকর করে তুলে। সেরাভে আই ক্রিম এর হায়ালুরনিক এসিড চোখের নিচের ভাজ কমিয়ে তোলে এবং চোখের নিচের এই অংশকে হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড করে রাখে। এই ক্রিম ত্বকের ব্যারিয়ার শক্তিশালী করে ত্বককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের নিচে জ্বালাপোড়া হয় না।

3W Clinic Honey Eye Cream: এই ক্রিম ত্বকের ব্যারিয়ার কে শক্তিশালী করে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। চোখের নিচের অংশ জুড়ে ময়েশ্চারাইজড করে রাখে এবং চোখের নিচে জমে থাকা ভাঁজ গুলো দূর করে।

Cosrx Advanced Snail Peptide Eye Cream: এই ক্রিমটিতে শামুকের সিক্রেশন ৭২% থাকায় এটি দ্রুত চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে চোখের নিচের অংশটা উজ্জ্বল আবরণের জন্ম দেয়। এই ক্রিম ব্যবহারে চোখে নিচের ত্বক হাইড্রেটেড থাকে।

খেয়াল রাখতে হবে মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম যতগুলো রয়েছে এগুলোর ব্যবহারের জন্য রাত উপযুক্ত সময় এবং অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে ও চোখের নিচের অংশ ভালোমতো পরিষ্কার করে দিতে হবে। সাদা আরো কিছু সতর্কতা বেড়ে চলতে হবে যেমন মানুষের ত্বকের ধরন বিভিন্ন রকম হয়। তাই সব ক্রিম সবার ত্বকে নিজের গুনাগুন মানিয়ে নিবে এমনটা জরুরী নয়।

ছেলেদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়

চোখের নিচে কালো দাগ জনিত সমস্যা ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে। পুরো বিশ্বে শতকরা প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ ভাগ মানুষ চোখের নিচে কালো দাগ এর সমস্যায় আক্রান্ত এবং এই গণনার মধ্যে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই রয়েছে। চোখে নিচে ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগ দূর করার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের চোখের নিচের দাগ হওয়ার কারণ ভিন্ন ভিন্ন।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিটামিন এবং এবং অনিদ্রা এর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে এটা জানা দরকার যে কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয়, তবেই এটি নিরাময়ের উপায় গুলো বের হবে। তবে সব রকমের উপায় এর মধ্যে ছেলেদের চোখের দাগ দূর করার কয়েকটি উপায় নিয়ে নিম্নে সংক্ষেপে বলা হলো।

চোখের ক্রিম ব্যবহার করা: চোখের জন্য ব্যবহৃত আন্ডার আই ক্রিম গুলোতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর ফর্মুলা থাকে। ফলে এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে যার ফলে চোখের নিচের ত্বকের বেড ঝরে গেলে নিচে অন্ধকার আবরণের সৃষ্টি হয় না এবং চোখের নিচে কালো দাগ এভাবেই দূর হয়ে যায়। 

শসার টুকরার ব্যবহার: শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের নিচের কালো দাগ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। শসা একটু প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ার সপ্তাহে তিনবার করে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত এর আকর্ষণীয় ফলাফল দেখা যায়। 

তেলের ব্যবহার: কাঠবাদামের তেল ব্যবহারের ফলে চোখের নিচে ফোলা ভাব কমে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে আসে। 

চোখের সিরাম ও আই প্যাচ ব্যবহার: সাধারণত আই প্যাচ এর ব্যবহার করা হয় উজ্জ্বল ভাব নিয়ে আসতে। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয়ে চোখে নিচের কালো দাগ হালকা হওয়া শুরু করবে। এছাড়াও শ্রীরাম ব্যবহারের ফলে চোখের বলিরেখা এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। 

এছাড়া আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এর ব্যাপার বলতে গেলে মধু, শসা, কাঁচা দুধ, কফি পাউডার বা কফি বিন, কোকো পাউডার, আলু ইত্যাদি দিয়ে তৈরি পৃথক পৃথক বিভিন্ন রকম প্যাক অথবা মিশ্রণ ব্যবহার করে চোখে নিজের কালো দাগ দূর করার সম্ভব। 

লেখক এর মন্তব্য 

আশা করি আজকের চোখের কালো দাগ দূর করা নিয়ে আলোচনা ভিত্তিক পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা নতুন অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার উপর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন মতামত জানাতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে আপনার আশেপাশের মানুষকে চোখের নিচের কালো দাগ সম্পর্কিত তথ্য এবং কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ হয় তার বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন। 
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url